Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

২৪ ঘণ্টায় অবনতি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২০, ১২:৩৩ পিএম

দেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
তবে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, নদীগুলোর ১০১টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টের মধ্যে ৫৩টিতে বেড়েছে পানি। কমেছে ৪৭টি পয়েন্টে, স্থিতিশীল রয়েছে একটি পয়েন্টে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে ১৪টি পয়েন্টে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকলেও গঙ্গা-পদ্মার পানি বেড়েছে। মেঘনা অববাহিকায় পানি কমছে।
এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। এখনো পানিবন্দি লাখো মানুষ। এতে বানভাসি মানুষকে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ত্রাণও সেভাবে মিলছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজবাড়ী : পদ্মা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। রাজবাড়ী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিনটি গেজ স্টেশনের মধ্যে দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীতীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন তিনটি চর-কুশাহাটা, বেতকা ও রাখালগাছির বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও কিছু নিচু এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। পারাপারে সময় অনেক বেশি লেগে যাওয়ায় সেখানে ফেরির ট্রিপের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
ধুনট (বগুড়া) : বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি এক সেন্টিমিটার কমে বুধবার বিকেল ৩টায় সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
কুড়িগ্রাম : পানি কিছুটা কমলেও এখনো প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে জেলার বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ধরলা নদীর পানি ৩৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : উলিপুরে ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। উলিপুরের আটটি ইউনিয়নের ৬১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পাঁচ উপজেলার নি¤œাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদের পানি সামান্য কমলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি গতকালও অপরিবর্তিত ছিল। বুধবারও ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদের পানি ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে তিস্তা, যমুনা, কাটাখালী ও করোতোয়া নদীর পানি বাড়ছেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ