Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লাদাখে যেয়ে শান্তির বার্তা, ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতি থেকে দিশেহারা মোদি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২০, ৬:২৩ পিএম

গত বছর জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতের এয়ারস্ট্রাইকে কেউ নিহত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া না গেলেও সেই ঘটনাকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে দারুণভাবে ব্যবহার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মাধ্যমে তিনি নিজের একটি অতিমানবীয় ভাবমূর্তি সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। তার দল নির্বাচনী প্রচারণায় জনগণকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিল যে, মোদি দেশের শত্রুকে দারুণ শিক্ষা দিতে পারেন।

কিন্তু পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সাথে সংঘর্ষের পরে সেই মোদিকেই দেখা গেছে একেবারে চুপসে যেতে। এ ঘটনা মোদির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরাজয় বললে ভুল হয় না। এর ফলে বড় ধরণের উভয় সংকটের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন তিনি। চীনে যে বালাকোটের মতো কোন নাটক করা সম্ভব নয়, সেটি ভালোমতোই জানেন তিনি। আবার, এতদিন যেই সেনাবাহিনীর বড়াই করে ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি দেখিয়ে বেড়িয়েছেন, শত্রুকে গুড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছেন, তা নিয়ে যে চীনের সামনে দাঁড়ানো যাবে না তা জনগণের কাছে প্রকাশও করতে পারছেন না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, এখন পুঁচকে নেপালও ভারতকে পরোয়া করছে না। প্রমাণ হয়ে গেছে, তার প্রশাসন রাজনীতিতে যতটা পাকা, পররাষ্ট্র নীতিতে ততটাই কাঁচা। ফলে, নিজের ইমেজ বাঁচাতে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মোদি।

এমন পরিস্থিতিতেই, শুক্রবার আকস্মিক সফরে লাদাখে যান মোদি। তার সঙ্গে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনা প্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে। গলওয়ানে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাতের পরে এই প্রথম লাদাখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেখানে তাকে একেবারেই নমনীয় রূপে দেখা গেল, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। লাদাখে যেয়ে তিনি শান্তির বার্তা শুনিয়ে বলেন, ‘দুর্বলেরা নয়, শান্তির কথা বলতে পারেন বীরেরাই।’ আর সেনাবাহিনীকে তুষ্ট করতে অকুন্ঠ প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সেনার সাহস ও দেশমাতৃকার প্রতি তাদের আত্মনিবেদনের কোনও তুলনা হয় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরে বসবাসকারী প্রত্যেক ভারতীয় এই কথা বিশ্বাস করেন যে আপনারা দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। যে প্রাকৃতিক পরিবেশে আপনারা এই অসম সাহসের পরিচয় দিচ্ছেন, তা সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন। আপনারা বারবার প্রমাণ করেছেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনীই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সাহসী এবং ক্ষমতাশালী।’

তবে চীনের কাছে হারানো ভূ-খণ্ড কিভাবে উদ্ধার করবেন, ভারত যে এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে, সেখান থেকে চীন যে সেনা না সড়িয়ে উল্টো নতুন নতুন স্থাপণা নির্মাণ করে নিজেদের অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করে চলেছে, তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে, সে সমস্ত বিষয় বরাবরের মতোই এড়িয়ে গেলেন তিনি। সূত্র: টাইমস নাউ, ডিএনএ ইন্ডিয়া।



 

Show all comments
  • মোঃ আক্কাস বিন আব্দুল হাকিম ৩ জুলাই, ২০২০, ৮:৩৮ পিএম says : 0
    কি বলবো ভাষা খুজে পাচ্ছি না।মোদির হটাৎ লাদাখের সফর দেখে আমার সেই ছোট কালের একটা গল্প মনে পরে গেল। বন্ধু সাথে বন্ধুর ঝগড়া কিন্তু উপস্থিত দর্শকরা কিছু বলছে না দেখে একজন বলছে তোরা আমারে থামা তানাহলে আমি নিজেই থাইমা যাব।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Asaduddin Khan ৩ জুলাই, ২০২০, ১১:০৩ পিএম says : 0
    He is a brave man.
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Asaduddin Khan ৩ জুলাই, ২০২০, ১১:০৪ পিএম says : 0
    He is a brave man.
    Total Reply(0) Reply
  • আবদুর রাফি ৪ জুলাই, ২০২০, ১২:২০ এএম says : 0
    হিন্দি শব্দ অনেকের বুজতে সমস্যা হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Gopal Roy ৪ জুলাই, ২০২০, ৭:৩২ পিএম says : 0
    kon ... ai news ta likheche
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ