Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এবার গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা হবে আইসিডিডিআর’বিতে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ৫:২০ পিএম

ঔষধ প্রশাসনের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

তিনি বলেন, অ্যান্টিবডি কিটের বিষয়ে আমরা আমাদের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্টকে আমলে এনে নিবন্ধনের অনুরোধ করেছিলাম। ঔষধ প্রশাসন বিদ্যমান সরকারি নিয়মে আবার কন্ট্র্যাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন করতে বলেছে। আমাদের আবেদিত রিয়েজেন্টের জন্য অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রোববার (৫ জুলাই) দুপুরে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

কিটের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী-গবেষক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক আমাদের কথা ইতিবাচকভাবে শুনেছেন এবং সর্বাত্মক সহায়তা করতে চেয়েছেন। অ্যান্টিবডি কিট আরেকবার পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই পরীক্ষা করার সক্ষমতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নেই। এটি করতে পারবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। আগামী দুএক দিনের মধ্যেই আমরা আইসিডিডিআর,বিতে যাব।

তিনি বলেন, আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে কিট পরীক্ষা করতে খুব কম সময় লাগবে। ১০০ থেকে ১৫০টি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে। ৫০টি পজিটিভ স্যাম্পল ও ১০০টি নেগেটিভ স্যাম্পল পরীক্ষা করলেই হবে। এতে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে এবং অন্যান্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় লাগবে।

অ্যান্টিবডি ট্রায়ালের আগে বা ট্রায়াল চলাকালে আমাদের জানানো হয়নি ভ্যালিডেশনে এফডিএ’র আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করা হবে। বিএসএমএমইউ সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। যে কারণে কিট মূল্যায়নে সমস্যা হয়েছে। অ্যান্টিজেন কিটের ক্ষেত্রে আমরা আগেই বলেছি, কোন প্রক্রিয়ায় ট্রায়াল হবে তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পূর্বেই নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর একটি গাইডলাইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে। আগামী বুধবারের মধ্যে অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার গাইডলাইন চূড়ান্ত হবে। তার আগে খসড়া অনুযায়ী আমরা আবেদন করা যাবে উল্লেখ করেন ড. বিজন কুমার শীল।

এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে তাকে আমি স্বাগত জানাই। ঔষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানাই। তারপরও আমার মন একটু খারাপ। কারণ এক ধরনের দীর্ঘসূত্রিতায় পড়ে যাচ্ছি। প্রক্রিয়াটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হলে বেশি খুশি হতাম। ঔষধ প্রশাসন আমাদের যে গাইডলাইন দেবে তা আমরা অনুসরণ করবো। এখন আমাদের প্রত্যাশা থাকবে পরবর্তী ধাপগুলো যেন সেই গতিতে সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, আমি আবারো বলছি, সরকার বড় ধরনের ভুল করছে। সরকারের কর্মকা-ে পরিস্থিতির ভয়াবহতা দৃশ্যমাণ হচ্ছে না। আমি অনুরোধ করবো, পরিস্থিতি অনুধাবন করুন এবং গুরুত্ব দিন। নিজেরা কাজ করুন, আমাদেরও কাজ করতে দেন। সামনে যে বাধা আছে সেটা সরিয়ে দেওয়াই সরকারের কাজ— বাধা সৃষ্টি করা না। আমি সরকারের শুভ বুদ্ধি কামনা করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ