Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পারমাণবিক কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলো ইরান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ১১:৪৯ এএম
ইরান বলছে, তাদের ওই পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চলছে এই অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সেগুলোকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। প্রসঙ্গত, ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পদ্ধতি হলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপায়।
পারমাণবিক স্থাপনায় আগুন লাগার কারণে এর আগে যা জানা গিয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সদ্য প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রে স্পষ্ট হওয়ার পর ইরান কর্তৃপক্ষ সেখানে ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলো। দেশটির যে কটি পারমাণবিক স্থাপনায় আন্তর্জাতিক নজরদারি আছে নাতাঞ্জ তার মধ্যে একটি।
স্যাটেলাইট চিত্রগুলো প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক ইরানের নিউজ আউটলেট ইরান ইন্টারন্যাশনাল। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানকার বেশিরভাগ স্থাপনা উড়ে গেছে। তার ধ্বংসাবশেষ আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, ওইদিন ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
ইরানি কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানিয়েছিল, মধ্য ইসফাহান প্রদেশের নাতাঞ্জ পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সংস্থায় একটি ‘ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল শেডে’ আগুন লেগেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় বিশ্লেষকদের দাবি, এটি এমন একটি স্থান যেখানে উন্নত সেন্ট্রিফিউজ রয়েছে; যা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির কাজ করে।
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি রোববার বলেন, মাঝারি পর্যায়ে তেহরান যে সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন এবং সমৃদ্ধকরণের কাজ করছে এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে তার গতি কমে যাবে এবং ইরান দুর্ঘটনায় ধ্বংস হওয়া ভবনের স্থানে নতুন একটি আরও উন্নত ভবন তৈরি করবে, যাতে থাকবে উন্নত যন্ত্রপাতি।
নাতাঞ্জের ওই ঘটনার পর গত শনিবার আরও দুটি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল দুর্ঘটনা ঘটে ইরানে, এরমধ্যে একটি স্থাপনায় আগুন ও বিস্ফোরণও অন্তর্ভূক্ত। সম্প্রতি ইরানের স্থাপনায় এমন দুর্ঘটনার কারণে একটা অভিযোগ জোরালো হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ইরানে এসব নাশকতামূলক হামলা চালানো হচ্ছে, মূল অভিযুক্ত দেশ ইসরায়েল। 
 


 

Show all comments
  • My name is rupak Das..... ৮ জুলাই, ২০২০, ১১:৩২ এএম says : 0
    আমার মতে ইরানে যে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে, তাতে কোন পান হানি ঘটেনি. দেখুন যেকোন শক্তিশালী দেশ সে চাইবেনা যে তার চেয়ে অন্য দেশ তার চেয়ে উপরে চলে যায়... এখানে মূল উদ্দেশ্য হল এই টা. যদি আমার কথা মত সহমত হন, তাহলে কীছু বলবেন.....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ