Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুদে টাকা এনে ভাড়া পরিশোধ : অবশেষে ঢাকার মায়া ত্যাগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২০, ৯:৪৬ এএম

প্রতিরাতে মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ইতোমধ্যে অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। আবার অনেক ঢাকায় বাসাভাড়া শোধ করতে না পেরে মাল-পত্র রেখেই চলে গিয়েছেন। অন্যদিকে কেউ আবার সুদে ধার করে টাকা এনে ভাড়া পরিশোধ করেন।

জন্ম ও বেড়ে উঠা সবই ঢাকায়, কিন্তু চির পরিচিত এই শহর ছেড়ে এখন গ্রামে পাড়ি দিতে হচ্ছে সোনিয়াকে। স্বামীর হাত ধরে এখন গ্রামে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।

পেশায় বাস কন্ডাক্টর সোনিয়ার স্বামীর আয় বন্ধ হয়ে যায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর। বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শেষমেষ সুদে ধার করে টাকা এনে ভাড়া পরিশোধ করেন। এরপরে সব মায়া পেছনে ফেলে ছেড়ে যান এই শহর।

এই শহরে প্রায় একযুগ ধরে ডাব, সবজি এসব বিক্রি করে সংসার চালাতেন চুন্নু মিয়া। গেল তিনমাস ধরে উপার্জন বন্ধ থাকায় বউ বাচ্চাদের গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন চিন্তা করছে নিজেও ঢাকা ছাড়বেন। উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা ছাড়ছেন এরকম বহু মানুষ। বিবিসি বাংলা



 

Show all comments
  • মোঃ খোরশেদ আলম ৮ জুলাই, ২০২০, ১১:৫৯ এএম says : 0
    আমার জীবনের সত্য ঘটনা। সেই ১৯৯৮ সালে আমি আর আমার নতুন জীবন সঙ্গীকে সাথে নিয়ে কোন রাতে পালিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় আসি। কোন কাজ কর্ম জানা নাই সাথে নতুন বউ। ঢাকার মাতুয়াইল এলাকায় আমার গ্রামের আব্দল্লাহ নামে এক ভাই ছিলো, সেই ভাইয়ের বাসায় গিয়ে উঠলাম। সব কিছু ভাইকে বুঝিয়ে বল্লাম সেও মেনে নিলো বললো ঠিক থাকো সমস্যা নাই। ভাই তখন বেবীট্যাক্সি চালায়। আমাকে সহস দিলো সমস্যা নাই তোমাকো বেবী চালানো শিখাবো। কিন্তু নতুন বউ নিয়ে এসেছ ঘরে আসবাবপত্র কিছু হাড়িপাতিল তোমার কেনার দরকার। আব্দুল্লাহ ভাই বুদ্ধি দিলো আপাতত রিকসা চালাও কিছু জিনিসপত্র কেনো। আমার সাথে বিকাল বেলায় বেবী চালানো শিখবে। শুরু করলাম তাই। মোটামুটি ভালই চলছে। প্রায় দেড় বছর পর একটি চাকরী পেলাম টঙ্গী ন্যাশনাল ফ্যান কোম্পানীতে,বেতন ১৩৫০/- চাকরীর সুবাদে মাতয়াইল ছেড়ে চলে আসলাম উত্তরায়। ১২ডিসেম্বর ২০০০ সালে আমাদের ঘর আলো করে জন্ম হলো মেয়ে নাম শাম্মী আক্তার সোনিয়া। তখন ফ্যান কোম্পানীতে বেতন হয়েছে ১৭৫০/। আর এদিকে গোপনে কোম্পানীর গাড়ি চালানো শিখা কমপ্লিট। ভালো বেতনে একটি ড্রাইভিং চাকরি খবর পেলাম। ইন্টার ভিউ দিলাম এটাই আমার প্রথম ড্রাইভিং হলো বেতন ৩০০০/- তিন হাজার মানে অনেক টাকা। তারপর ২০০১ সালে আমাদের ঘরে জন্ম হলো ছেলে রবিউল ইসলাম রনি। ২০০৫ সালে ড্রাইভিং নিলাম র‌্যাংগস্ ইলেকট্রনিকস্ (সনি)তে তেজগাঁও বেতন ধরলো ৭০০০/- ১০বছর চাকরি করার পর কোম্পানীর ডিজিএম স্যারের মেডামের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলাম। আবার চাকরি নিলাম স্কয়ার ফার্মাসিউটিকেল কালিয়াকৈর সেখানে বেতন ছিলো ভালোই চাকরি করছি প্রায় ২বছর। ডিউটির পরিমান বেশি। ডিউটি করি এশিপ্ট,বিশিপ্ট,সিশিপ্ট আবার জেনারেল। চক্রাকার ডিউটি করতে করতে যখন হাফিয়ে গিয়েছি ঠিক সেই মুহুর্তে ফোন দিলো আমার কলিক আঃ কুদ্দুছ র‌্যাংগস্ কোঃ থেকে আমি যদি আবার র‌্যাংগস্ এ ফিরে আসি স্যার খুব খুশি হবেন,জানাইলো আঃ কুদ্দুছ। ঘারে শয়তান বসে বলতে লাগলো স্কয়ারে কষ্ট বেশি প্রতিদিন উত্তরা থেকে কালিয়াকৈর যাওয়া আসা,তার চেয়ে ভালো র‌্যাংগস্ চলে যাই। সেই ডিজিএম স্যারের মেডাম শয়তানও ফোন করে বলে আলম তুমি আবার চলে আসো। খুব ভালো হবে। স্কয়ারে যা পাও তাই দিবো। এখানে তোমার বাসার কাছেই। শয়তানের কথায় স্কয়ার থেকে চলে আসলাম র‌্যাংগস্ এ। দূ্র্দশা শুরু হলো। মেডাম আগে ছিলো এখন তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর। চাকরি করা সম্ভব না। খুব কষ্টে ১বছর চাকরি করলাম। শেষমেষ সব ছেড়ে ২০১৮ সালে শুরু করলাম উবারে গাড়ি চালানো ভালোই ইনকাম খারাপ না। সংসারে ছেলে-মেয়ে নিয়ে ভালোই দিন কাটছে। মেয়ে ইন্টার পরীক্ষর্থী এই অবস্থায় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ছেলে ২০২১ সালের পরীক্ষর্থী। ছেলে বিএএফ শাহীন কলেজে পড়ে। আমার কাজকর্ম বন্ধ কোন ইনকাম নাই। সবার মতো আমিও দেশে চলে যেতে চাই। কিন্তু,পারবোনা, কারণ এই করোনার মহামারিতে আমি নিশ্য হয়ে গেছি। কোথাও যাওয়ার যায়গা নাই। টাকাও নাই। ঘর ভাড়া বাকী দোকানে বাকী বন্ধু বান্ধব,এলাকায় অনকেই টাকা-পয়সা পাবে। তাই আর আমার কোথাও যাওয়া হবে না। ঋণের চাপে বিভিন্ন জনের কথা সব সহ্য করে খেয়ে নাখেয়ে এখন দিনাতিপাত করছি। না পেলাম কোন ত্রাণ, না পেলাম কোন সাহায্য। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া তিনি এখনো আমাদেরকে সুস্থ্য অবস্থায় জীবিত রেখেন। কৃতজ্ঞ সেই মহান রবের নিকট। আল্লাহ্ হাফেজ।
    Total Reply(1) Reply
    • মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম ৯ জুলাই, ২০২০, ১২:৪০ পিএম says : 0
      আল্লাহুতায়ালার উপর ভরসা যেহেতু আগে, ইনশাআল্লাহ এর প্রতিদান শীঘ্রই পাবেন

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকা ত্যাগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ