Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নবীর (সা.) উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় প্রতারক ব্যক্তি

খুৎবা-পূর্ব বয়ানে পেশ ইমাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২০, ১২:০৩ এএম

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। অধিকাংশ মসজিদে জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় মুসল্লিদের রাস্তার ওপর জুমার নামাজ আদায় করতে হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের প্রবেশ পথে জীবাণুনাশক বুথ স্থাপন করা হয়। নগরীর মহাখালিস্থ মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রচুর মুসল্লির সমাগম ঘটে। করোনা মহামারী থেকে মুক্তি পেতে গুনাহমুক্ত জীবন অর্জন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন খুৎবা পূর্ব বয়ানে পেশ ইমামরা।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিউদ্দিন কাশেম খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, করোনা মহামারীতে যে ব্যক্তি অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে হাত বাড়াবেন আল্লাহপাক তার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে আমরা আল্লাহপাকের প্রিয় বান্দা হতে পারবো।

তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু করোনার অজুহাত দেখিয়ে রোগীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া উচিৎ হবে না। নিজেদের সুরক্ষা বজায় রেখে অসুস্থ অসহায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। করোনা থেকে মুক্তি পেতে সমস্ত অন্যায় অপরাধ ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হতে হবে। গুনাহমুক্ত জীবন অর্জন করতে হবে। আল্লাহপাক আমাদের তৌফিক দান করুন। আমীন।

পুরানো ঢাকার চকবাজার ইসলামবাগ বড় মসজিদের খতীব শাইখুল হাদীস মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি খুৎবার বয়ানে বলেন, করোনার সময় যদি আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত না হয় এবং আল্লাহ ও পরকালমুখী না হই তা’হলে এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্য আর কিছুই হতে পারে না। তিনি বলেন, চিকিৎসা ও ত্রাণের নামে মানুষের সাথে যারা প্রতারণা করছে তারা প্রকৃত পক্ষে মানুষ নয় বরং অমানুষ। এ প্রসঙ্গে পেশ ইমাম বলেন, হাদীসে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নেয় সে নবী (সা.) এর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।

ঢাকার ডেমরার ঐতিহ্যবাহী দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা জামে মসজিদের সহকারি পেশ ইমাম অধ্যাপক মাওলানা মো. ফরিদ উদ্দিন (ফরিদগঞ্জী হুজুর) খুৎবার বয়ানে বলেন, করোনার কারণে প্রস্তুতি নিয়েও বিশ্বের মুসলমানরা এবার হজে অংশ নিতে পারছেন না। তবে যাদের হজের পুরোপুরি প্রস্তুতি ও নিয়ত ছিল আল্লাহপাক তাদেরকে হজের পুরো সওয়াব দান করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, তোমরা পর পর হজ ও ওমরাহ পালন করো। কেননা হজ ও ওমরাহ দারিদ্রতা এবং গুনাহ দূর করে দেয়। হজে মাবরুর যথা মাকবুল হজের প্রতিদান কেবল জান্নাত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নবীর (সা.)


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ