Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

শিবগঞ্জে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধের ঘটনায় তদন্ত দাখিল

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২০, ৭:২১ পিএম

নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামারটি স্থাপন করে বিষ্ঠার দুর্গন্ধের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। রোববার (১২) জুলাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রণজিৎ চন্দ্র সিংহ স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করেন। এর আগে ২৯ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে প্রাণিসম্পদ অফিস। অভিযোগে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর পূর্বে গুপ্তমানিক এলাকার রউফ মিঞাপাড়ার মৃত তোবজুল মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে খামারে প্রায় ৫শ’ মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না। সরজমিনে গুপ্তমানিক রউফ মিঞাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দা কাসিম আলী ও বাসুরুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বাড়ির পাশেই পোল্ট্রি খামার। বিষ্ঠা থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’ অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি সরানোর জন্য গত ২১ জুন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল গ্রামবাসী। তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। পরে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু খামারটি স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এছাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্রে জাতীয় পোল্ট্রি উন্নয়ন নীতিমালা-২০০৮ মানা হয়নি। এ বিষয়ে খামার মালিক মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সোমবার বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রণজিৎ চন্দ্র সিংহ বলেন, ওই এলাকার মিজানুর রহমান নীতিমালা উপেক্ষা করে বাড়ির পার্শ্বে খামার স্থাপনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর প্রেরণ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব-আল-রাব্বি বলেন, এ ঘটনায় খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ