Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

করোনার সময়ে ডিম খাবেন

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০৪ এএম

ভাবছেন ডিম খাবেন কিনা? সকালের নাস্তায় পরোটা ভাজা, ডিমের সানি সাইড আপ অথবা ডিম পাউরুটির স্যান্ডুইচের সাথে কফি হলে মন্দ হয় না। অন্যান্য খাবারের চেয়ে ডিমে পুষ্টি উপাদান হিসাবে ভিটামিন, মিনারেলস্ এবং এমাইনো এসিড তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। করোনা রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল না কিনে সেই টাকায় ডিম খেলে বরং আরো উন্নত ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। ডিম খেলে এইচ.ডি.এল কোলেস্টেরল বা ভাল কোলেস্টেরল যেমন বৃদ্ধি পায় একইভাবে ডিম খাওয়ার কারণে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল.ডি. এল কোলেস্টেরল ও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই একটি ভারসাম্য বজায় থাকে। ডিম খাওয়ার কারণে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় না। ডিম খাওয়ার কারণে শতকরা ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে টোটাল কোলেস্টেরল বা এল.ডি.এল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় না।
ডিম স্ট্রোকের ঝুকি কমিয়ে দেয়। একটি গবেষণায় দেখা যায় যারা দিনে অন্তত একটি ডিম খায় তাদের হেমোরেজিক বা রক্তক্ষরণ জণিত ব্রেন স্ট্রোক থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি শতকরা ৩০ ভাগ কম থাকে। ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি যা আপনার ব্রেনের গ্রে ম্যাটারের জন্য উপকারী। এ ছাড়া এটি আপনার সন্তানের নিউরণকে সজীব রাখে। করোনার এ জটিল পরিস্থিতিতে আপনার সন্তানকে একটি করে ডিম খেতে দিন।
ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনারা সবাই প্রতিদিন ডিম খেতে পারবেন। তবে যা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে তা হলো ডিম খেতে হবে রয়ে সয়ে। কিডনী এবং হার্টের রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খেতে হবে। তবে ডিম খাওয়া অসুস্থ রোগীদের একেবারেই নিষেধ নয়। করোনা মহামারীর জন্য জিংক এবং ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার জন্য যারা উঠে পড়ে লেগেছেন তারা শুধুমাত্র ডিম খান। কারণ ডিমে জিংক এবং ভিটামিন ডি দুটি উপাদানই রয়েছে। করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে ডিমের পাশাপাশি আপনার শিশুকে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। স্বাস্থ্যবান মানুষরা প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখতে ভুল করবেন না। কারণ ডিম আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণকালীন সময়ে ডিমের সানি সাইড আপ না খাওয়াই ভাল। কারণ এ ভাইরাস চলাকালীন সময়ে ডিম ভালভাবে রান্না করে খেতে হবে। মুখের কিছু কিছু আলসার এবং রোগে নিয়মিত ডিম খেলেই আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ওষুধ খেতে হবে না। তাই মুখের আলসার বা মুখের রোগে সব সময় ওষুধ ব্যবহার করবেন না। যারা দীর্ঘদিন বিভিন্ন মুখের রোগে ভুগছেন তাদের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে এবং খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ [email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১০ ডিসেম্বর, ২০২২
১০ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন