সাতকানিয়ায় হাইভোল্টেজ তারে জডিয়ে দগ্ধ শিশুর মৃত্যু

সাতকানিয়ায় হাইভোল্টেজ তারের সঙ্গে স্পৃষ্ট হয়ে দগ্ধ রিম্পি নামে ৯ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার
গোপালগঞ্জে চালকের গলাকেটে ব্যাটারী চালিত ভ্যান ছিনতাইয়ের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ছিনতাইকৃত ভ্যানটি উদ্ধার করে।
বুধবার রাতে বৃহস্পতিবার মাদারীপুর জেলার টেকেরহাট, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া ও সদর উপজেলার সহ স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকুতরা হলো জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের মুছা কাজী ছেলে ওমর কাজী (২২), একই গ্রামের মোশারফ দাড়িয়ার ছেলে সোহেল দাড়িয়া(৩২), কাশিয়ানী উপজেলার কলসী ফুকরা গ্রামের শের আলীর ছেলে রবিউল (২৫) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে হানিফ (২৮)।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসপি সার্কেল মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, ওমর কাজী তার চাচাত ভাই সোহেলের সাথে পূর্বপরিকল্পনা করে গত ১৩ জুলাই বিকেল ৪ টায় পাশের গ্রামের পূর্বপরিচিত পার্শবর্তী হিরণ গ্রামের ব্যাটারীচালিত ভ্যানচালক শরিফুল খানকে ৩ শ’ টাকায় ভাড়া করে গোপালগঞ্জ শহরে নিয়ে আসে । শহরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ওমর একটি চাকু কিনে চাচাত ভাই সোহেলের ভাড়া বাসায় গিয়ে ভ্যান চালক শরিফুলসহ ৩ জনকে নিয়ে গাঁজার আসর বসায়। সেখানে ওমর ও সোহেল ভ্যানের তালা ভেঙ্গে ভ্যান চুরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর ওমর ভ্যান চালক শরিফুলকে নিয়ে রাত ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ হতে কোটালীপাড়া বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। তাদের ভ্যান মাঝবাড়ি বাজারের কাছে পৌছলে ভ্যান চালক শরিফুকে খুন করে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ওমর তার কোমরে থাকা ছুরি দিয়ে শরিফুলের গলায় আঘাত করে। শরিফুল ভ্যান থেকে পড়ে যায়। সে মারা গেছে মনে করে ওমর ভ্যান ছিনতাই করে গোপালগঞ্জ চলে আসে। পরদিন সকালে ওমর তার চাচাত ভাই সোহেল ও রিকশাচালক হানিফের মধ্যস্থতায় রবিউলের নিকট ৮ হাজার টাকায় ছিনতাকৃত ভ্যানটি বিক্রি করে।
আহত শরিফুলকে মুমুর্ষু অবস্থায় ২ জন পথচারী উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া ও পরে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। শরিফুল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে মৃতুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
গ্রেফতারকৃতরা গোপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাশাপাশি তারা আদালতে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।