Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টঙ্গীবাড়ী সহ মুন্সিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২০, ৩:২৭ পিএম

উজান থেকে নেমে আসা পানি আর ঘন ঘন বৃস্টিপাতের কারনে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা সহ মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে আজ ২১ জুলাই মঙ্গলবার পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ৭২সেন্টিমিটার এবং মাওয়া পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিগত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ।

নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মা সংলগ্ন জেলার ৩টি উপজেলা টঙ্গিবাড়ী, লৌহজং ও শ্রীনগর মোট ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে প্লাবিত রয়েছে। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। পানিবন্দি রয়েছে ২০ হাজার অধিক মানুষ। বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছে পানি বন্দি মানুষগুলো।

মুন্সিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, উজান থেকে নেমে আসা স্রোতে পদ্মায় আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।


জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য চাউল, শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। খুলে দেওয়া হয়ছে আশ্রয়ণ কেন্দ্র।

তবে জেলায় কোন এলাকায় এখনো আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অবস্থান নেইনি বন্যা কবলিত মানুষজন

এদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়া টঙ্গীবাড়ীর উপজেলার পদ্মার চরের গ্রামগুলোর বসতবাড়িতে কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও বুক সমান পানি। এসব বসতবাড়িতে থাকা মানুষজনের সঙ্গে বিপদে পড়েছে তাদের গবাধি পশু ও হাঁস-মুরগিও। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘরের মাচা উচুঁ করলেও পানিবন্দি হয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাতে হচ্ছে বানভাসী পরিবারগুলোকে এর মাঝে আবার বিষাক্ত সাপের ভয় তো আছেই ।

লৌহজংয়ের পদ্মার তীরের ১৬টি গ্রাম, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ১৮টি গ্রাম, সদর উপজেলার পদ্মা তীরের ৭টি গ্রাম ও শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ও বাঘরা ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম বন্যার পানিতে ভাসছে। লৌহজং উপজেলার অনেক রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে

এদিকে টঙ্গিবাড়ী ও লৌহজং উপজেলায় নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। মসজিদ,কবরস্থানসহ অনেক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে বর্তমানে বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, এ পরিস্থিতিতে বানভাসি পরিবারদের সহায়তায় ৬৫ মেট্রিক টন চাল, ৭শথ জনের শুকনো খাবার, শিশু এবং গো-খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা কবলিত পরিবারের জন্য জেলায় ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ