Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভাইরাস থেকে বাঁচতে গরিবদের সাহায্য করতে হবে : জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২০, ৪:৪৯ পিএম

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের দরিদ্রতম মানুষের জন্য অস্থায়ী প্রাথমিক আয় নিশ্চিত করে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষকে ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা গেলে করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

জাতিসংঘ বলছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গরীবদের সাহায্য করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল না। তাদের ঘরে রাখতে বা করোনাভাইরাস গাইডলাইন প্রয়োগ করতে অন্তত চাহিদা পূরণ করা জরুরি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ১৩২টি উন্নয়নশীল দেশে দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত ২৭০ কোটি মানুষের সুরক্ষার জন্য ২০ হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব। এটা এখন জরুরিভাবে প্রয়োজন। এই মহামারিতে গোটা বিশ্বে এখন প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, যেখানে দশজনের মধ্যে সাতজন বিভিন্ন অস্থায়ী কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন এবং যারা বাড়িতে বসে থাকলে কোনো উপার্জন করতে পারবেন না তারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

ইউএনডিপির প্রতিবেদন বলছে, এই সংকটের সময়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন সামাজিক বীমা কর্মসূচির আওতাভুক্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ, যেমন-অস্থায়ী কর্মী, নারী, যুবক, শরণার্থী, অভিবাসী এবং প্রতিবন্ধীরা। ইউএনডিপি গত কয়েক মাসে ৬০টিরও বেশি দেশে কোভিড-১৯ এর আর্থ-সামাজিক প্রভাবগুলোর ওপর মূল্যায়ন করেছে। এতে দেখা গেছে, সামাজিক সুরক্ষার আওতাভুক্ত কর্মীরা আয় ছাড়া বাড়িতে থাকতে পারবেন না।

অস্থায়ী আয়ের মাধ্যমে তারা খাবার কেনা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার ব্যয় মেটান। তাদের এই ব্যয় নাগালের মধ্যেও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, তাদের ছয় মাসের অস্থায়ী আয়ের জন্য ২০২০ সালে প্রত্যাশিত কোভিড-১৯ এর মোট আর্থিক প্রতিক্রিয়ার মাত্র ১২ শতাংশ প্রয়োজন হবে, বা উন্নয়নশীল দেশগুলো বহিরাগতের কাছ থেকে যে ঋণ পায় তার এক-তৃতীয়াংশের সমান।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান অর্থনীতিবিদ জর্জ গ্রে মোলিনা ও লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষক এদুয়ার্দো অর্টিজ-জুয়ারেজের মতে, বর্তমানে বিশ্বে ১ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন (১০৭ কোটি) মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া ও উপসাহারান আফ্রিকায় দারিদ্র্যসীমার নিচে দৈনিক আয় ধরা হয় ১ দশমিক ৯০ ডলার; পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ৩ দশমিক ২০ ডলার এবং ইউরোপ, মধ্য এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ৫ দশমিক ৫০ ডলার।
এ ছাড়া ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন (১৭১ কোটি) মানুষের জীবনমান দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জর্জ গ্রে মোলিনা বলেছেন, ‘এখন নগদ অর্থ প্রদান কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখন ব্রাজিল, মেক্সিকো পেরু, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো গরিব রাষ্ট্রগুলোতে খুব দ্রুত করোনার সংক্রমণ ঘটছে।’
মোলিনা আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান কার্যক্রমও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ভাইরাস প্রতিরোধে সহায়ক হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ