Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ছাপাখানা থেকেই মেডিক্যালের প্রশ্নফাঁস!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে থাকা ছাপাখানা থেকেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদে সম্মেলনে এ কথা জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি। ওই মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি। যার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছিল ৪৭ জন। এদের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় তদন্ত করার সময়ে ২০১৮ সালে একটি চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। গত ১৯ জুলাই এস এম সানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সানোয়ার ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তিপরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নুা, পারভেজ খান, জাকির হোসেন দিপু এবং সামিউল জাফর সিটুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই চক্রের মূলহোতা জসিমের কাছ থেকে দুই কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ছাপাখানা থেকে প্রশ্নফাঁস হচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুমন কুমার দাস বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, ১৯৮৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে একটি ছাপাখানা থেকে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়। ওই ছাপাখানায় চাকরি করে এমন সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা হয়তো এসব কাজে যুক্ত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া চক্রের সদস্যরা ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপাখানা থেকে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতা জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নুর অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। যা মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। সিআইডি জানায়, ছাপাখানার মেশিনম্যান সালাম এবং তার খালাতো ভাই জসীম- এ দুজন মিলে গড়ে তুলেছিলেন এ চক্র। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে পুরো চক্রটিকে চিহ্নিত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেডিক্যাল-প্রশ্নফাঁস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ