Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফুটবলেরও অবকাঠামোগত উন্নয়ন চান জেমি ডে!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২০, ৭:৪৯ পিএম

ক্রিকেটের মতো বাংলাদেশ ফুটবলেরও অবকাঠামোগত উন্নয়ন চান জাতীয় ফুটবল দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। ইতোমধ্যে দুইবছর পার করলেন লাল-সবুজ ফুটবলের সঙ্গে, থাকবেন আরো দুইবছর। জেমি ২০১৮ সালে জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়ে দক্ষতার সঙ্গেই তা পালন করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি থাকবেন ২০২২ সালের মধ্য আগস্ট পর্যন্ত। গত মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হন এই ব্রিটিশ।

বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে কাজ করতে গিয়ে খেলাধুলার প্রতি এদেশের মানুষের ভালবাসা খুব কাছ থেকেই দেখেছেন জেমি। যদিও বর্তমানে ক্রিকেট নিয়ে বেশি মাতামাতি করছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। তারপরও এদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা কমেনি বলেই মনে করেন জেমি। ক্রিকেটের সাফল্যের সামনে ফুটবলের ব্যর্থতা বড় হয়ে দেখা দিলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটলে বাংলাদেশের ফুটবলও এগিয়ে যাবে বলেই ধারণা এই ইংলিশম্যানের। ২৪ জুলাই ফিফাকে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বাকি চার ম্যাচ, লাল-সবুজের ফুটবল ও ক্রিকেটের অবকাঠামোগত পার্থক্যসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জেমি ডে। যেখানে উঠে এসেছে স্টেডিয়ামের দর্শকশূণ্য গ্যালারি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কথাও।

কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব ফের মাঠে গড়াচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসে। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নতুন শুরু করবে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। ইতোমধ্যে বাছাইয়ে চার ম্যাচ খেলে ফেলেছে জেমি ডে’র দল। ফলাফল আহামরি না হলেও ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ একেবারে খারাপ খেলেনি বলেই দাবি জেমির। করোনাভাইরাসের কারণে বাছাইপর্ব স্থগিত হওয়ার আগে খেলা চার ম্যাচের মধ্যে আফগানিস্তান, কাতার এবং ওমানের কাছে হারলেও ভারতকে তাদের মাটিতেই রুখে দিয়েছেন জামাল ভূঁইয়া-সাদ উদ্দিনরা। ভাগ্য সহায় ছিলনা বলে ম্যাচের ৮৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও সল্টলেকে ভারতের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। বাছাইয়ে এটাই বাংলাদেশের একমাত্র পয়েন্ট অর্জন।

বাছাইয়ে খেলা চার ম্যাচ প্রসঙ্গে জেমি ডে বলেন,‘আমরা জানতাম, ‘ই’ গ্রুপে আমরা আন্ডারডগ এবং অন্যদলগুলো ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে অনেক ওপরে থাকবে। গত চার ম্যাচে আমরা খুবই ভালো খেলেছি এবং আরো বেশি পয়েন্ট পেতে পারতাম।

চারটি ম্যাচেই আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল, কিন্তু ওমানের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করাটা ছিল খুবই হতাশার।’

বাকি চার ম্যাচের তিনটি ঘরের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। নিজেদের মাঠে খেলা বলে আরো ভালো কিছু পেতে আশাবাদী ব্রিটিশ কোচ। তার কথায়,‘নিজেদের মাঠে খেলার জন্য এবং এশিয়ান কাপের পরের আসরে খেলার স্বপ্ন পূরণে আরো পয়েন্ট নিশ্চিত করতে মুখিয়ে আছি আমরা। কিন্তু আমাদের জন্য হতাশা হচ্ছে, এই ম্যাচগুলো আমরা নিজেদের দর্শকের সামনে খেলতে পারব না, যারা আমাদেরকে দারুণভাবে সমর্থন জোগাতে পারত।’

২০১৮ সালের তুলনায় বাংলাদেশের ফুটবল বর্তমানে বদলেছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ কোচ। তবে পারিপার্শ্বিক আরো অনেক কিছুতে উন্নতির দরকার বলে জানান তিনি। জেমি ডে বলেন,‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে ফুটবল খুবই জনপ্রিয়, কিন্তু অবকাঠামো, ফান্ডিং ও পৃষ্ঠপোষকতার দিক থেকে ক্রিকেট অনেক বেশি উন্নত। এখানকার ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। বিশেষ করে তৃণমূল ফুটবল থেকে শুরু করে ঘরোয়া লিগে খেলা পেশাদার ক্লাবগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। এটা হলে আরো প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় ভবিষ্যতে উঠে আসবে এবং তা খেলাটির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। দর্শক ফিরবে গ্যালারিতে। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে দেশের ফুটবল উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ