Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনের নতুন জোট নেপাল-আফগানিস্তান-পাকিস্তানকে নিয়ে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ৯:৩২ এএম

সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ এক সময়য়ের ভারতের কাছের বন্ধু নেপাল ক্রমের দূরে সরে যাচ্ছে। বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে ভারত-নেপাল। অন্যদিকে আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এসব সূত্র ধরেই চিরকালের বন্ধু পাকিস্তান, নেপাল, আফগানিস্তান ও চীনের মধ্যে নয়া জোটের সূত্রপাত হচ্ছে। এই চার দেশে মিলে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ গঠতে পারে।

জানা গেছে, পুরনো সহযোগী পাকিস্তান ও সেই সঙ্গে নেপাল এবং আফগানিস্তানও। কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং করোনা-সঙ্কটের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত আর্থিক বৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশকে নিয়ে এবার নতুন জোট গড়ছে চীন।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার তিন দেশের মন্ত্রীদের নিয়ে এ বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, চীন ও পাকিস্তানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যৌথ আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠক।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওয়াংয়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপকুমার গাওয়ালি এবং আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হানিফ আতমার যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ছিলেন অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী মখদুম খুশরো বখতিয়ার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের আবহে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক বৃদ্ধির গতি বাড়াতে চার দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। পাশাপাশি, চীনের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বিআরআই (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ)-এ দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশের অংশগ্রহণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন ওয়াং। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চীনের এই প্রকল্পের সক্রিয় অংশীদার হয়ে উঠেছে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পেশ করা চার দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতিকরণ এড়ানো এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা।

বৈঠতে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে পাশে নিয়ে করোনা মোকাবিলায় আফগানিস্তান ও নেপালে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে বেইজিং। জনস্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে তুলতেও সাহায্য করা হবে । করোনার টিকা বাজারের আসার পরে তা পেতেও সহায়তা করা হবে ওই দুই দেশকে। আর তার বদলে চীনের লক্ষ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওয়াং। তিনি বলেছেন, আমরা চীন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর (সিপিসি) এবং ট্রান্স হিমালয়ান কানেন্টিভিটি নেটওয়ার্ক (টিএইচসিএন) সম্প্রসারণে সক্রিয় হব। এর ফলে উপকৃত হবে আঞ্চলিক অর্থনীতি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা



 

Show all comments
  • Tanvir ২৯ জুলাই, ২০২০, ১০:০৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার সাথে থাকলে কোন দিন উন্নতি করবে না
    Total Reply(0) Reply
  • মজিবুররহমান ৩০ জুলাই, ২০২০, ৭:২২ এএম says : 0
    গঠন মুলক হওয়া চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Mim ৩০ জুলাই, ২০২০, ৭:৫৮ পিএম says : 0
    Pakistan ar sangai thaka valo majhe modhye jangi pathabe
    Total Reply(0) Reply
  • Bhabendra ৩০ জুলাই, ২০২০, ১১:১০ পিএম says : 0
    China theke sabdhan.Uighur Muslim nirjaton,Jishukhrister crush venge fela,Etimodhe Arjo dharmer desh India-k akromon korechhe.Tai sadhu sabdhan.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ