Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাটের চেয়ে কম দাম অনলাইনে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডিজিটাল হাটসহ প্রায় অর্ধশতাধিক অনলাইন হাটে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। সাধারণ পশুর হাটের তুলনায় অনলাইনে এবার তুলনামূলক কম দামে পশু বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। শেষ মুহূর্তে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্রেতাদের ভীড়ও বেড়েছে বলে জানিয়েছে ই-কমার্স ব্যবসায়িরা। ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাথে কথা বলে জানা যায়, অনলাইনে পশু বিক্রি আগে শুরু হলেও ক্রেতাদের অনলাইন হাট থেকে পশু কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে গত ২ দিন ধরে বিশেষ করে রাজধানীর গরুহাটগুলো চালু হওয়ার পর। যখনি ক্রেতারা হাটে গিয়ে এবং অনলাইন ভিজিট করে গরুর দামের পার্থক্য দেখছে তখনি প্রচুর ক্রেতা সমাগম ও বিক্রি বেড়ে গেছে অনলাইনে। অনেকের ধারণা ছিল ঢাকার গরুর হাটগুলো শুরু হলে অনলাইনে বেচাকেনা কমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সাধারণ হাটের চেয়ে ই-কমার্স শপগুলোতে দাম কম বিধায় হাট চালু হওয়ার পর ই-কমার্স শপগুলোর বেচাকেনা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা আসলে ক্রেতাদের সামর্থের কথা বিবেচনা করে গরু সংগ্রহে জোর দিয়েছি। আমাদের যারা খামারী ও উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদেরকে আমরা একটা মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এই মূল্যসীমা সারাদেশে পশুর বাজারের উপর প্রভাব ফেলেছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক। এই মূল্যসীমার কারণে এবারে গরুর দাম বাড়াতে পারবেনা অন্যরা।
বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন, আমাদের বেশীরভাগ গরুই ডিজিটাল স্কেলে ওজন মাপা। যেসব গরু বাইরে থেকে আসবে তাদের গরুগুলো ঈদের আগের দিন ওজন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সুতরাং এখানে কোনো প্রতারণার সুযোগ নেই। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের জন্য একটা আস্থার জায়গা তৈরী করেছে।
দারাজের হেড অব ইকুইজিশন সাইমুন সানজিদ চৌধুরী বলেন, আমাদের বেশকিছু মার্চেন্ট থেকে বাছাই করে আমরা শুধু ন্যায্যমূল্যে যারা গরু দিতে পারবে তাদের কাছ থেকে গরু নিচ্ছি। ফলে আমরা গরুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে পেরেছি।
গ্রামীণফ্রেন্ডসের সিইও জুনায়েদ আহমেদ বলেন, লাইভ ওয়েটের উপর ২৯০ টাকা ৩৩০ টাকার মধ্যে আমাদের গরুগুলো রয়েছে। এরমধ্যে কোনো হাসিল নেই। এমনকি আমরা হোম ডেলিভারীর দায়িত্ব নিয়েছি। ডিজিটাল হাটের ইনভয়েসে গরুর ছবি দেয়া রয়েছে। ক্রেতারা গরু ডেলিভারী নেয়ার সময় অবশ্যই সব তথ্য মিলিয়ে নিতে পারবেন। অনলাইন হাট হলেও ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। ক্রেতারা একবার এখান থেকে গরু কিনলে বার বার কিনবেন।
বিডিসেলের নির্বাহী শহীদুজ্জামান বলেন, আমরা অনলাইনে দেয়ার জন্য কিছু পশু ছবি তুলতে হাটে গিয়েছিলাম। রাজধানীর কয়েকটা হাট দেখে আমরা অনলাইনে আপলোড করার জন্য গরু পাইনি। কারণ সেগুলোর দাম অনলাইনের গরুর তুলনায় অনেক বেশী।
গরুহাট ডট কম এর প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শাহীন বলেন, আমরা প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে গরু কিনছি। ফলে একদিকে কৃষক উপকৃত হচ্ছে অন্যদিকে ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যে সেরা গরু পাচ্ছে। উপরন্তু অনলাইনে হাসিল না থাকার কারণে ক্রেতারা আরো বেশী উৎসাহিত হচ্ছে। করোনার ব্যাপারতো আছেই।
দেশী গরু বিডি’র প্রধান নির্বাহী টিটু রহমান বলেন, প্রথাগত হাটের সাথে পার্থক্য গড়তে হলে অবশ্যই দাম এবং মান দুটোকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। ডিজিটাল হাট যে দামসীমা নির্ধারণ করেছে আমরা তারচেয়ে কম দামে অনলাইনে গরু বিক্রি করছি। ফলে প্রতিদিন আমাদের বিক্রির হার বাড়ছে। অনলাইনে কুরবানির পশুর সাথে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ¯øটারিং সেবা। ডিএনসিসি ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ডিজিটাল হাটে পাওয়া যাচ্ছে এই সেবা। এর মধ্যে রয়েছে গরুর স্বাস্থ্য ও ওজন পরীক্ষা, ইসলামী বিধান অনুযায়ী গরু জবাই, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাংসকাটা, গরুর ভূড়ি পরিষ্কার, মাংস, পায়া, কলিজা, মগজ ইত্যাদি ৪ কেজির নিরাপদ প্যাকে করে দ্রæত সময়ের মধ্যে বাসায় পৌঁছে দেয়া। এতে অন্যান্য সহযোগিতায় রয়েছে আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশন। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনলাইন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ