পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংকের অভিনন্দন

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেছেন, সময় এসেছে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার
দাম ওঠানামায় ফের অস্থির স্বর্ণের বিশ্ববাজার। কখনও দেখা যাচ্ছে বড় লাফে নিজের শক্তির জানান দেয়ার পরই আবার বিনিয়োগকারীদের কদর হারাচ্ছে এই ধাতুটি। আবার কখনও দেখা যাচ্ছে দাম পড়তিতে কেনাবেচা শেষে পরদিন আবার দামের উত্থান ঘটছে বাজারে। বিনিয়োগ আকর্ষণে নিজের শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে এক হাত থেকে আরেক হাতে যাচ্ছে আভিজাত্যের এই প্রতীকটি।
কয়েকদিন ধরে হাত বদল হওয়ায় সোনার গতিবিধি ধাতুটির দামের উত্থান-পতন এমন ‘অস্থির’ লেখচিত্রই তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করা সংস্থা গোল্ড প্রাইসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একদিন নি¤œমুখী থাকার পর শুক্রবার (৩১ জুলাই) আবারও উর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে এসেছে উজ্জ্বল এই ধাতুটি। বিকেল পর্যন্ত বেচাকেনার রেকর্ডে দেখা যায়, প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম উঠেছিল ১৯৭৪ ডলারের বেশি। এই দাম উত্থান-পতনের চলমান বাজারে গেল বুধবারের রেকর্ড করা দাম ১৯৬৯.১২ ডলারের চেয়ে প্রায় ৫ ডলার বেশি।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের তা-বে যখন উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে তখন স্বর্ণের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ছে। কারণ, বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণ সব সময়ই নিরাপদ। আর এতেই রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙে দাম বাড়ছে ক্রমাগত।
এর আগে গত ২৭ জুলাই (সোমবার) সকাল সকাল নিরাপদ বিনিয়োগ আকর্ষণে নিজের শক্তি দেখিয়ে ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলে ধাতুটি। এদিন, বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (এক আউন্স সমান ২৮.৩৫ গ্রাম) সোনার দাম ওঠে ১৯৪৪ ডলারের বেশি। এর আগে ২০১১ সালে প্রতি আউন্স সোনার দাম উঠেছিল ১৯২১ ডলার পর্যন্ত।
এরপর থেকে রেকর্ড ভেঙেই দাম বাড়তে থাকে স্বর্ণ। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) এক লাফে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বাড়ে ১৪ ডলারের বেশি। দিনবাপী ওঠানামার মধ্যে বেচাকেনা শেষে সেদিন এই ধাতুর দাম ঠেকে ১৯৫৮.১১ ডলারে। তবে, এর পরদিন আর নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি বাজারে দাপট দেখানো সোনা। বুধবার (২৯ জুলাই) সারাদিনই অনেকটা পড়তি দামে হাত বদল হয় করোনাকালে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের এই ধাতুটি।
তবে দিন শেষ করে ঠিকই শক্ত অবস্থানের জানান দিয়ে, প্রতি আউন্সের দাম উঠে ১৯৬৯.১২ ডলার। তবে, এর পরদিন (৩০ জুলাই) আর বাজারে উত্থান হয়নি দাম পড়তির মুখে পড়া ধাতুটির। কদর হারানোর মধ্য দিয়েই বেচাকেনা চলে। বৃহস্পতিবার পড়তির বাজারে দিন শেষে মূল্যবান এই ধাতুর দাম ঠেকে ১৯৫৭.০৮ ডলারে। আগের দিনের সর্বোচ্চ দামের চেয়ে যা ১২.০৪ ডলার কম।
চলতি বছরেই বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ডলার হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।