Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহেশপুরে একতা ক্লিনিকে সিজারের পর কিশোরী মায়ের মৃত্যু, ডাক্তার পলাতক

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২০, ৫:৩৫ পিএম

মহেশপুর উপজেলার নেপার মোড়ে একতা ক্লিনিকে লাবনী আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরী মায়ের মৃত্যু হয়েছে। লাবনী মহেশপুরের সেজিয়া গ্রামের নাঈম হাসানের স্ত্রী। সোহেল রানা নামে এক কথিত চিকিৎসক সিজার করার পরপরই বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাবনী। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য লাবনীর মৃত লাশ জীবিত দেখিয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক গা ঢাকা দিয়ে আছে। টাকা দিয়ে এই মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানিয়েছেন লাবনী মৃত্যুর ঘটনার কারো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। নাঈম অভিযোগ করেন বৃহস্পতিবার ভোরে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে নেপার মোড়ে অবস্থিত মোহন লাল ও তার ছেলে সোহেলের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এরপর কথিত চিকিৎসক ডাঃ সোহেল রানা লাবনীকে সিজার করেন। সিজারের পর পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে লাবনী।

এলাকাবাসি জানায় ক্লিনিকটির কোন লাইসেন্স নেই। নেই চিকিৎসার নুন্যতম কোন পরিবেশ। অজ পাড়া গাঁয়ের এই ক্লিনিকে সার্বর্ক্ষিন কোন চিকিৎসক থাকে না। নেই কোন প্রশিক্ষিত নার্স। হাসপাতালের মালিক মোহন লাল ওয়ার্ড বয়, মা আয়া ও ছেলে সোহেল ডাক্তার সেজে ক্লিনিকটি পরিচালনা করেন বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। এ ব্যাপারে ক্লিনিক মালিক সোহেল ও চিকিৎসক সোহেল রানার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে জানান, শুনেছি নেপার বাজারের একতা ক্লিনিকে এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। আমি মহেশপুরের স্বাস্থ্য অফিসার ডাঃ আনজুমান আরাকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। এ বিষয়ে কাউকে ছাড়া দেওয়ার আর স্কোপ নেই।

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আন্জুমানারা বেগম জানান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্বাশতী শীল ও তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একতা ক্লিনিকে অব্যবস্থাপনা বিদ্যান, প্রয়োজনীয় ইন্সট্রুমেন্ট না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শ্বাশতী শীল মালিককে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।ক্লিনিকে কোন সার্বক্ষনিক ডাত্তার উপস্থিত ছিল না।প্রসূতির মৃত্যু বিষয়ে তদন্ত করে কর্র্তৃপক্ষকে জানাবো,তার নির্দেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।এ ছাড়া সরকারের তরফ থেকে সকল ক্লিনিক মালিককে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র,ইন্সট্রুমেন্ট সংগ্রহ ও ডাক্তার নার্স নিয়োগ করে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ ঠিক করার জন্য ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে,ফলে এই মূহুর্তে আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারছি না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ