Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনায় ২৩১টি পানির উৎস স্থাপন প্রকল্পের স্থান নির্দিষ্ট হয়নি দীর্ঘদিনেও

প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : প্রত্যন্ত পল্লীতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে খুলনা জেলায় ২৩১টি সুপেয় পানির উৎস স্থাপনের প্রকল্পটির গতি মন্থর। এখনো পর্যন্ত স্থান নির্ধারণের কাজটিই চূড়ান্ত হয়নি। অন্যদিকে, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর ও বাগেরহাট জেলায় ৭৯টি পুকুর পুনঃখনন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনা। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ লাখ ২৫ হাজার মানুষ সুপেয় পানির সংকটে পড়েছিল। আবার, ২০০৯ সালে ২৫ মে খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়ার ৫ লাখ ৪৬ হাজার মানুষের অভাব দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানির। শুষ্ক মৌসুমে দাকোপের সুরখালী ইউনিয়নবাসী, কয়রা দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে এবং পাইকগাছার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা গ্রামের মানুষ বর্ষার ৪ মাস ব্যতীত সারা বছরই পানি কিনে পান করেন। বর্ণিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে এমনি প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শামিম আহমেদ গত ১১ জুলাই জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বলেছিলেনÑ মিষ্টি পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি টাকার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এ প্রকল্পে উপজেলার পল্লীতে প্রয়োজনীয় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৩টি অগভীর নলকূপ, ১০টি মডিফাইড তারা, ১৫৭টি গভীর নলকূপ, ২৭টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং, দু’টি এসএসটি/ভিএসএসটি এবং দু’টি মালটিপোল হ্যান্ড পাম্প স্থাপনের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। খুলনা জেলায় মোট ২৩১টি পানির উৎস স্থাপনের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এসব কাজের দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু এখনো স্থান নির্ধারণ করা হয়নি বলে সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানান, প্রকল্পের আওতায় খুলনার ফুলতলায় ২২টি, রূপসায় ২০টি, তেরখাদায় ২০টি, বটিয়াঘাটায় ২০টি, ডুমুরিয়ায় ২৮টি, দিঘলিয়ায় ২৪টি গভীর নলকূপ; দাকোপে ১৬টি শ্যালো নলকূপ ও ১০টি মডিফাইড তারা, পাইকগাছায় ১৭টি শ্যালো নলকূপ ও ১৭টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং এবং কয়রায় ২৩টি গভীর নলকূপ ও ১৭টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং স্থাপন করা হবে। তবে এখনো পর্যন্ত এসব পানির উৎসের স্থান নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি। শুধু মাত্র খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রাশিদী সুজা একটি ডিও লেটার দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনায়। ফলে প্রকল্পটি অনেকটা থমকে রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার সূত্রে জানা গেছে, পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্প পরিচালক মোঃ মোস্তফা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকা থেকে গত ২৭ জুলাই এক স্মারকে খুলনা সার্কেলের চার জেলায় ৭৯টি পুকুর পুনখননের উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। জেলা পরিষদের মালিকাধীন দেশের ১৪৩টি পুকুর পুনঃখননের উদ্যোগ দেয়া হয়েছে এ প্রকল্পে। এর মধ্যে খুলনা জেলার দাকোপে ৪টি, পাইকগাছায় ৫টি ও কয়রা একটি পুকুর; সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একটি, দেবহাটায় একটি, কালিগঞ্জে ৩টি ও শ্যামনগওে একটি পুকুর; যশোরের মনিরামপুরে দুইটি ও ঝিকরগাছায় একটি পুকুর; বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে ৭টি, রামপালে ৩টি, চিতলমারী ১৪টি, সদরে ৬টি, কচুয়ায় ১০টি, ফকিরহাটে ৩টি ও শরণখোলায় ৭টি পুকুর পুনঃখনন করা হবে। পুনঃখননের পর এসব পুকুর পুনরায় জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে গত মঙ্গলবার সকালে এবং গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে গিয়ে পাওয়া যায়নি নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শামিম আহমেদকে। সর্বশেষ বুধবার বিকেল সোয়া ৩টায় কল করলেও অফিস থেকে সরবরাহকৃত তার ব্যবহৃত মোবাইল (০১৭১২ ৬৫৮০৩২) নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।















































 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনায় ২৩১টি পানির উৎস স্থাপন প্রকল্পের স্থান নির্দিষ্ট হয়নি দীর্ঘদিনেও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ