Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বরিশালে সৌদি খেজুর আবাদ ও উৎপাদনে সফল প্রবাস থেকে ফেরা মামুনের

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২০, ৪:৩৯ পিএম

সৌদি জাতের খেজুর আবাদ করে সফল হয়েছেন বরিশালের উজিরপুরে ধামসর গ্রামের মামুন হাওলাদার। দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ২০১৫ সালে বামরাইলের নিজ ভিটায় ফিরে সৌদি জাতের খেজুরের আবাদ শুরু করে ৫ বছরের মধ্যেই সফলতা লাভ করেছে মামুন। তার বাগানের গাছে খেজুর ধরেছে। যা ইতোমধ্যে প্রায় খাবার উপযোগী হয়েছে। প্রতিদিনই তার বাগানের সৌদি খেজুর দেখতে দুর দুরান্ত থেকে মানুষ আসছে। ইতোমধ্যে উৎপাদিত এ খেজুরের বাজার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা বলে মামুন জানিয়েছে।
আগামীতে বাগানের দুশ গাছেই ফলন আসলে বছরে অন্তত ১০ লাখ টাকার খেজুর বিক্রী করার লক্ষ রয়েছে মামুনের। তবে ইতোমধ্যে মামুন তার বাগানেই উৎপাদিত বেশ কিছু চাড়াগাছ বিক্রী করেছে। যে কেউ তার কাছ থেকে চাড়া সংগ্রহ করলে সব ধরনের কারিগরি সহায়তাও প্রদান করছে মামুন। তার স্বপ্ন বাংলাদেশও সৌদি জাতের খেজুর উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন করুক।
দীঘর্ ১৮ বছর সৌদি আরবের বিভিন্নস্থানে চাকুরী করার সুবাদে সে দেশের খেজুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওঠে মামুন। সুযোগ পেলেই সে খেজুর বাগানে ঘোরাঘুরি করে এ আবাদ প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান আহরন করেছে। দেশে ফেরার আগে থেকেই বিভিন্নভাবে সে সৌদি খেজুর গাছের চারা দেশে পাঠাতে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে। নিজে ২০১৫ সালে সৌদী প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে ফেরার সময়ও আরো বেশ কিছু চারা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।
এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকায়নি মামুন । দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাসে বহু কষ্টে অর্জিত প্রায় ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে সে গড়ে তুলেছে সৌদী জাতের দুশ খেজুর গাছের বাগান। আর বহু কষ্টের সে বাগান ইতোমধ্যেই তাকে সফলতা এনে দিতেও শুরু করেছে। সম্পূর্ণ নিজ অভিজ্ঞতায় ভর করে সীমাহীন ঝুকিনিয়ে গড়ে তোলা বাগানের বেশকিছু গাছে খেজুর ধরেছে। গাছে গাছে থোকা থোকা খেজুর মামুনের চোখে আশার আলো আর মুখে উজ্জল হাসি নিয়ে এসেছে ইতোমধ্যে।
মামুনের বাগানে আরো বেশ কিছু চারা খেজুর গাছ বিক্রীর উপযোগী হয়েছে। তার মতে, দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকার মাটি সৌদি জাতের খেজুর গাছের উপযোগী। তবে এজন্য নিবিড় পরিচর্যা প্রথম শর্ত। সে এ পর্যন্ত কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর বা কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট থেকে তেমন কোন সহায়তা নেয়নি বা পায়ওনি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মাটিতে সৌদি জাতের খেজুর আবাদ ও উৎপাদন সম্ভব। মামুন সহ যে কেউ এধরনের কারিগরি সহায়তা চাইলে তা করা হবে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ