Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ ইউজিসির

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে পারবে না গবেষণার অর্থ যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চালু করা হয়েছে। তবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন বা ডিভাইস না থাকাতে এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। তাদের কথা বিবেচনা করে এবার স্মার্টফোন কেনার জন্য অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গতকাল রোববার ৪৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কাছে পাঠানো ইউজিসির চিঠিতে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চাকরিবিধি /প্রবিধির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিপালন, গবেষণা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ করারও নির্দেশনা দেয়া হয়। ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি চিঠিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদেরকে এসব নির্দেশনা পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি/প্রবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালন করা অবশ্য কর্তব্য। চাকরিবিধি/প্রবিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে অন্যকোন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা কোন ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন না। কিন্তু কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের মধ্যে কেউ কেউ চাকরিবিধি/প্রবিধি অমান্য করে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে একদিকে যেমন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন। এসব কর্মকান্ড চাকরি বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি/প্রবিধি যথাযথ প্রয়োগ, অনুসরণ ও প্রতিপালনের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য ভিসিদের অনুরোধ জানানো হয়।

অপর এক চিঠিতে বলা হয়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চাহিদা মতো প্রতি অর্থবছরে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মকান্ডের মধ্যে গবেষণা কার্যক্রম অন্যতম বিধায় কমিশন গবেষণা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ খাতে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাদ্দকৃত অর্থের সাহায্যে গবেষণা প্রকল্প আহ্বান এবং প্রাপ্ত গবেষণা প্রকল্প পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত প্রকল্পের অনুকূলে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে। গবেষণাখাতের অর্থ গবেষণা কার্যক্রমে ব্যয় করার নিয়ম থাকলেও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটছে। গবেষণাখাতে বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ শুধুমাত্র নির্বাচিত গবেষণাপ্রকল্পের কার্যক্রমে ব্যয়ের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য অনুরোধ করা হয়।

আরেকটি চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ অনাকাক্সিক্ষত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই শিক্ষাকার্যক্রমে যাতে সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ এবং সহজ শর্তে ঋণ বা সহায়তার আওতায় স্মার্টফোন সুবিধা দিতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়া হয়। অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে সকল শিক্ষার্থীর ডিভাইস ক্রয়ে আর্থিক সক্ষমতা নেই, শুধুমাত্র সে সকল শিক্ষার্থীর নির্ভুল তালিকা ২৫ আগস্টের মধ্যে কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ