Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণ-দুর্নীতি নির্মূল করুন

আন্তর্জাতিক যুব দিবসে টিআইবির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

টেকসই উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন-দুর্নীতি বন্ধ, সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে সমান সুযোগ নিশ্চিত করাসহ ৭টি দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানায় সংস্থাটি। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংস্থার পক্ষ থেকে দাবিগুলো উত্থাপন করেছেন।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এবছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে তরুণদের অংশগ্রহণ’। দিবসটি উপলক্ষে ৭ দাবি হলোঃ- ১. এসডিজি অর্জনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নীতি-কৌশল প্রণয়ন, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ এবং সেগুলোর বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি বন্ধ করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দুর্বলতা হ্রাস, উন্নত ও টেকসই নীতি-কৌশল নির্ধারণে সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতির ক্ষেত্রে তরুণরা সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে মতামত প্রকাশ ও প্রতিবাদ করার আইনি অধিকারের চর্চা করতে পারে, তা নিশ্চিত করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ একই ধরনের অন্যান্য আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।
৩. সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রে চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হবে।
৪. জাতীয় যুবনীতি ২০১৭ এর পূর্ণ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট ও সময়াবদ্ধ কৌশল ও কর্ম-পরিকল্পনা নির্ধারণ করে সেগুলোর বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ এবং আধুনিক, সময়োপযোগী, বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
৫. কোভিড-১৯ অতিমারি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় তরুণদের কার্যকর ও অর্থবহ অংশগ্রহণ ও পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
৬. করোনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করতে হবে। সৃজনশীলতা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।
৭. তরুণ উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের পাশাপাশি পরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান, আইনি সহায়তা এবং বাজারে অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ ও ব্যাংক ঋণ শর্ত ও সুদ হার সহজ করতে হবে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ কাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বড় অংশটিই বর্তমানে কর্মক্ষম যুব সমাজ; অথচ রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পরিসরে নীতি কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তরুণদের অংশগ্রহণের ঘাটতি যেমন বিদ্যমান; তেমনি তরুণদের রাজনীতিবিমুখতার হারও আশঙ্কাজনক। রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা কর্মকান্ডে তরুণদের অংশগ্রহণের পথও নানা আইনি ও পদ্ধতিগত বাঁধায় আটকে আছে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ প্রয়োগে সা¤প্রতিক বছরগুলোতে স্বাধীন মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নীতি-কৌশল এবং রাষ্ট্রীয়, সামাজিক বা রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে মত প্রকাশের দায়ে নাগরিকদের অযাচিত মামলা ও আটকের ঘটনায় যুবসমাজের ওপরই বেশি প্রভাব পড়েছে। এতে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ইস্যুতে যুবকদের অংশ গ্রহণ ও মত প্রকাশ সীমিত ও সংকুচিত হচ্ছে। তিনি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে ২০টিতেই সরাসরি তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরেন। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ