Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বৈরুত বিস্ফোরণে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার ক্ষতি : প্রেসিডেন্ট আউন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ৪:৩২ পিএম

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিগুলো প্রাথমিক তদন্ত শেষে আর্থিক ক্ষতির এ পরিমাণ নিরূপণ করেছে বলে জানিয়েছেন লেবানিজ প্রেসিডেন্ট।
এদিকে গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও টালমাটাল লেবানন। উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এমপি-মন্ত্রীদের পদত্যাগের এক পর্যায়ে পুরো সরকারের পতন ঘটে। পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। এরই মধ্যে বুধবার প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন জানিয়েছেন, অর্থের মানদণ্ডে ওই বিস্ফোরণে লেবাননের ক্ষতির পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ এক লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
৪ আগস্টের ওই বিস্ফোরণে কার্যত গোটা বৈরুত শহর কেঁপে ওঠে। দিকে দিকে বাড়িঘর ধসে পড়তে শুরু করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ছয় হাজার। গৃহহীন হয়ে পড়েছে তিন লাখ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ফের সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ। মুখে লেবাননের পতাকা রঙের মাস্ক পরে তারা দিকে দিকে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ এবং বিভিন্ন সরকারি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সম্ভাব্য ওই বিস্ফোরণ নিয়ে গত জুলাই মাসে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করা হয়েছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারকে সতর্ক করার দুই সপ্তাহের মধ্যে লেবানের রাজধানী বৈরুতের বন্দরে ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বিস্ফোরণ ঘটে।
গত ২০ জুলাই লেবাননের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ক অধিদফতর থেকে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এবং প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে কী ছিল সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, জানুয়ারিতে শুরু হওয়া একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের ফলাফলের সারসংক্ষেপ ছিল ওই চিঠিতে। যেখানে অবিলম্বে রাসায়নিকগুলোকে সুরক্ষিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।
ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এই রাসায়নিকগুলো চুরি করে সেগুলো দিয়ে যে কেউ সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারতো। এ নিয়ে তদন্তের পর একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, যদি এটি বিস্ফোরিত হয় তাহলে এটি বৈরুতকে ধ্বংস করে দেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৈরুত বিস্ফোরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ