পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে, সেজন্য তাদেরকে মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি অভিযোগ করেন, মামলাকে ব্যবহার করে সরকার বিরোধী দলকে নিষ্ক্রিয় করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সংখ্যা অসংখ্য। এখন মনে হয় এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কারোই ২৫টার নিচে মামলা আছে বলে মনে হয় না। এভাবে মামলা দিয়ে তারা প্রধান বিরোধী দলকে একেবারেই অকার্যকর করে রাখতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো রাজনীতি নাই। প্রধান কারণ হচ্ছে, তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেজন্য অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও জনগণ বিরোধী কার্যকলাপ দিয়ে তাদের বিরোধী দলকে বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তার (রিজভী) বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা। যে মামলাটিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, ওই মামলায় এফআইআর-এ নাম ছিলো না। অভিযোগপত্র দাখিলের সময়ে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটা তিনিও জানতেন না, তার আইনজীবীরাও জানতেন না। অতিদ্রুততার সঙ্গে এই মামলাটি সিএমএম কোর্ট থেকে বিচারিক আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে যা অস্বাভাবিক ব্যাপার। উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার, রিজভীকে হয়রানি অথবা গ্রেফতার করবার উদ্দেশ্যেই এটা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আইন মেনে চলি। প্রতিদিন আমরা আদালতে যাচ্ছি। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত আদালতে যান। রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার উদ্দেশ্য তাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা। যেদিনই পরোয়ানা জারি হয়েছে, সেদিনই আমাদের নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী সদস্যরা জড়ো হয়েছে। নেতা-কর্মীদের প্রবেশও সীমিত হয়ে গেছে। অফিসের স্টাফরাও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গুলশানের কার্যালয়ে রিজভী গেলে সেই কার্যালয়ে পুলিশ অবস্থান নেয় বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, অতীতের সবগুলো মামলাতে রিজভী জামিনে রয়েছেন, তিনি নিয়মিত আদালতে যাচ্ছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- এই মামলায় অতিদ্রুততার সাথে গ্রেফতারি পরোয়ানার কী প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলো? প্রয়োজনটা এজন্য যে, যেহেতু রিজভী আমাদের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অফিসের কাজ-কর্ম দেখছেন। তাকে যদি অন্তরীণ করা যায়, তাহলে বিএনপির আরেকটা ক্ষতি করা সম্ভব হবে। উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে বিএনপিকে কাজ করতে না দেয়া। সেই লক্ষ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিচ্ছে, গ্রেফতারি পরোয়ানাকে কার্যকর করার জন্য সাথে সাথে উঠে-পড়ে লাগছেন।
তিনি বলেন, দেশে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এখানে একটি কর্তৃত্ব পরায়ণ সরকারের সাথে আছে। ভিন্ন মোড়কে তারা দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে চায়। এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম বলেন, রিজভী আহমেদ এখন গ্রেফতার এড়িয়ে চলছেন।
নয়াপল্টনের এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, খায়রুল কবীর খোকন, সাখাওয়াত হোসেন জীবন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।