Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসরায়েল-আমিরাত চুক্তিতে ফিলিস্তিনীরা চরম হতাশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২০, ১:৩৭ পিএম

ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ‘শান্তিচুক্তি’ স্থাপনকে সর্বসম্মতভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় চরম বিস্মিত ও হতাশ হয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
বৃহস্পতিবারের এমন ঘোষণায় অবাক হয়েছেন ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ এবং নীতিনির্ধারকরাও। তারা বলেন, এ চুক্তি ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুকে নির্বাচনে জয়ী হতে সহায়তা করবে।
তারা বলছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত শুধুমাত্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যা খুবই লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে শুক্রবার ফিলিস্তিনের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আহমেদ মাজদালানি বলেন, চুক্তির বিষয়ে আগে থেকে খুব একটা জানতেন না। দ্রুত চুক্তিতে পৌঁছানো এবং চুক্তি ঘোষণার সময় বিবেচনায় তারা বিস্মিত। ঘোষণাটা এমন সময়ে এলো যখন ফিলিস্তিনিরা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
সাবেক ফিলিস্তিনি মন্ত্রী মুনিব আল মাসরি বলেন, ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর আবুধাবি শাসন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, মরহুম শেখ জায়েদ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিতে পেরে সবসময় গর্ববোধ করতেন। তাই নিজের জীবদ্দশায় এমনটা দেখতে হবে, কখনো ভাবতেই পারিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত শুধুমাত্র সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে প্রতারণা করবে, এটা লজ্জাজনক।
প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনেশিয়েটিভের নেতা এবং পার্লামেন্ট সদস্য মুস্তাফা আল বারঘৌতি বলেন, তিনি মোটেও অবাক হননি। কারণ আমিরাতের সামরিক বাহিনী কখনোই সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীকে মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিল না। সম্প্রতিক সময়ে তারা কিছু আজব পদক্ষেপও নিয়েছে। বিশেষ করে আমিরাতে ইসরায়েলের সরাসরি বিমান পরিচালনা। তবে এটা পরিষ্কার যে আগের কর্মকাগুলো এ ঘোষণা হজমের প্রাথমিক ধাপ।
এদিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েল-আমিরাত 'শান্তি চুক্তির' প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর মধ্য দিয়ে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি বিমান যোগাযোগ, সুরক্ষা, টেলিযোগাযোগ, প্রযুক্তি, শক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, পারস্পরিক দূতাবাস স্থাপন সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করবেন তারা।
এদিকে প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল অথিরিটি, হামাস, ইসলামি জিহাদসহ স্থানীয় সব গোষ্ঠী ইসরাইল-আমিরাত চুক্তির নিন্দা জানিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে তথাকথিত ‘ঐতিহাসিক শান্তি’ চুক্তি। একে পিঠে ছুরিকাঘাত বলে আখ্যা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি নেতারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ