Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিলেটের পর্যটনে প্রাণ ফিরছে

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১২:০৪ এএম

পর্যটক আর সৌন্দর্যপিপাসু মানুষদের বিচরণে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। করোনায় গত চারমাস বন্ধ ছিলো এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ঘরে বসে থেকে হাপিয়ে উঠেছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজন। প্রকৃতির কাছে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মুক্তির স্বাদ নিচ্ছেন তারা। সেকারণে হয়তো নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন। স্বাস্থ্যবিধি অনেকটাই উপেক্ষিত হলেও নির্মল নিঃশ্বাসের কাছে যেন হার মানছে সব কিছুই।

সিলেটের উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয় বিছানাকান্দি, জাফলং, লালাখাল, পাংথুমাই, লোভাছড়াসহ বিভিন্ন চা বাগানগুলো। জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় করোনায় চারমাস ধরে বন্ধ রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ঈদুল আজহার ছুটিতে সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় করছেন অসংখ্য পর্যটক। সেই থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অব্যাহত রয়েছে মানুষের আনাগোনা।

করোনা সংক্রমণে গত মার্চ থেকেই প্রায় পর্যটকশূন্য অবস্থায় রয়েছে সিলেট। এতে লোকসান গুণতে হচ্ছে পর্যটনখাতের উদ্যোক্তাদের। এই ঈদেও বাইরের পর্যটকরা আসেননি বলে জানিয়েছেন তারা। তবে এখন প্রতিদিনই সকাল থেকে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকায় ভিড় দেখা যায়। দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুলেও। ঈদের ছুটির কারণে প্রশাসনের কড়াকড়িও ছিলো না এখনও চলছে সেই শিথিলতা। নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া, প্রায়োগিক কোন দায়িত্বশীল পক্ষের এ ব্যাপারে নজরদারী কার্যত নেই। এসবের মধ্যেই সিলেটের চা বাগানগুলোর সবুজাভ সৌন্দর্য উপভোগে ছুটছেন মানুষ। সেই সাথে তারাপুর চা বাগান সংলগ্ন গোয়াবাড়াড়িতে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি দীর্ঘ ওয়াকওয়ে তৈরী করা হয়েছে। বিকেল থেকেই সেখানে মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে।

সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি হুমায়ন কবির লিটন বলেন, বর্ষা মৌসুম হল সিলেটে পর্যটনের প্রাণ। এসময় দেশের সব অঞ্চলের মানুষ সিলেটে ঘুরতে আসেন। পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হলেও স্থানীয় দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। বাইরের জেলার মানুষজন খানিকটা দ্বিধায় পড়ে গেছেন। তাই সীমিত আকারে পর্যটন স্পটগুলো খুলে দিলে পর্যটকদের আনাগোনা স্বাভাবিক হওয়ার পথ সুগম হতো।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব জানান, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতায়াত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না করে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তারপরও স্থানীয় দর্শনার্থীদের ভিড় হচ্ছে। তবে বাইরের লোকজন অপেক্ষা করছে নিষেধাজ্ঞা অবসানের। নিষেধাজ্ঞা অবসান হলেই পর্যটন কেন্দ্রগুলো প্রত্যাশিত অবস্থায় ফিরবে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু তাহের মো শোয়েব বলেন, আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার কথা বলছি। সীমিত আকারে হলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দিতে। কারণ এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে অন্যান্য অনেক খাত। সহসা ঘোষণা আসলে সার্বিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটন

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ