Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিদ্ধান্তহীন ভোটাররা ট্রাম্পকে বিজয়ী হতে সহায়তা করবে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন- শেষ

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইম্স | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

২০১৬ সালে মি. নিউ হাউস বলেছিলেন যে, যখন লোকদের সরাসরি কোনও ব্যক্তির সাথে কথা বলার পরিবর্তে ফোন সমীক্ষাগুলিতে তাদের পছন্দ মতো অপশন রেকর্ড করার জন্য বোতাম চাপতে বলা হয়, তখন ট্রাম্প সেগুলিতে ২ বা ৩ পয়েন্টে এগিয়ে থাকেন। নির্বাচন পরবর্তী জরিপে, যখন তিনি লোকদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তারা কখনও তাদের ভোট সম্পর্কে কথা বলতে অনিচ্ছুক কি না, তখন ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ ভোটার ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন। এবং তারা ডেমোক্র্যাট প্রবণ কাউন্টিগুলোর মহিলা ভোটার ছিলেন। নিউ হাউস সম্প্রতি এইরকম অনীহা প্রকাশের আরও প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন।

গত মাসের শেষ দিকে উত্তর ক্যারোলাইনা এবং আইওয়াতে পরিচালিত জরিপে তিনি দেখেছেন যে, ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন এমন কাউকে চেনেন, কিন্তু তারা তাদের নিকটতম বন্ধু ছাড়া কাউকে এ বিষয়ে তেমন কিছু জানাবেন না এমন প্রশ্নের জবাবে অঞ্চলগুলোর এক-তৃতীয়াংশ ভোটারের মধ্যে এক চতুর্থাংশই ‘হ্যাঁ’ উত্তর দিয়েছেন।

নিউ হাউস বলেন, ‘এটি লুকিয়ে থাকা ট্রাম্প ভোটারদের ধারণা পুরোপুরি নিশ্চিত করে।’ তিনি আরো বলেন যে, কিছু ট্রাম্প ভোটার এমন একটি দল, যা প্রেসিডেন্টের পক্ষে তাদের সমর্থন নিয়ে অনন্য স্বভাবে মত প্রকাশ করে এবং দৃঢ় সংকল্প, তারা যদি জরিপগুলিতে গণনার বাইরে থাকে, তাহলে তারা সংখ্যায় কত কেউ বলতে পারবে না। এবং জরিপকারীরা বলেছেন যে, যেভাবেই হোক না কেন, তারা ২০১৬ সালের একটি বৃহত্তম ভুল সংশোধন করেছেন, সেসময় তারা কলেজ ডিগ্রিবিহীন ব্যাপক সংখ্যক ভোটারের বিষয়ে জবাবদিহি করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, যাদের অনেকে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন। এবং তারা বর্তমান সমীক্ষাগুলোতে সেই সম্ভাব্য ভোটারদের একটি বৃহত্তর অংশকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কারণ তারা ঐতিহাসিক ভোটগ্রহণের প্রত্যাশা করেন।

মেরুকৃত রাজনৈতিক আবহাওয়া কীভাবে তাদের কাজের যথার্থতাকে প্রভাবিত করছে, তা নিয়ে জনমত বিশেষজ্ঞরা এখনও হাবুডুবু খাচ্ছেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, রক্ষণশীলরা আশঙ্কা করছেন যে, তারা রাজনৈতিক বিশ্বাস সম্পর্কে সৎ হওয়ার কারণে মধ্যপন্থী ও উদারপন্থীদের চেয়ে বেশি মাত্রায় রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের, যদিও বেশিরভাগ আমেরিকানদের মধ্যে ভোটের বিষয়ে চুপ থাকার প্রবণতা বাড়ছে বলে প্রতীয়মান।

গত মাসে উদারপন্থী কেটো ইনস্টিটিউট পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৭ শতাংশ রক্ষণশীল বলেছেন যে, তারা তাদের রাজনৈতিক মতামত জানাতে অক্ষমতা বোধ করছেন, নইলে অন্যরা তাদের আপত্তিজনক বলে মনে করতে পারেন। ২০১৭ সালের সমীক্ষায় তারা ৭০ শতাংশ ছিলেন। উদারপন্থীদের মধ্যে ৫২ শতাংশ একই উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। তিন বছর আগে তারা ৪৫ শতাংশে ছিলেন। মধ্যপন্থীদের মধ্যে এই হার তখন ছিল আগে ছিল ৬৪ শতাংশ এবং বর্তমানে ৫৭ শতাংশ।

তবে, ডেমোক্র্যাট জরিপবিদ জিওফ গ্যারিন বলেছেন যে, ট্রাম্পের নিম্ন অবস্থানের বিষয়ে সত্যিকার অর্থে যা ব্যাখ্যা করা হয়েছে তা ত্রæটিপূর্ণ পদ্ধতি নয়, বরং প্রেসিডেন্ট নিজের জোট সম্প্রসারণে অক্ষমতা। গারিন বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রচারণার জন্য সমস্যাটি নীরব ট্রাম্প ভোটাররা নয়, ট্রাম্পের গায়েব হওয়া যাওয়া ভোটারগণ। এবং ট্রাম্পের ভোটাররা নিরব থাকার পরিবর্তে বহুল সংখ্যায় নিখোঁজ রয়েছেন।’ এই ধারার বিপরীতে, যারা ২০১৬ সালে ট্রাম্পকে ভোট দেননি এবং যারা বর্তমানে সমর্থকে পরিণত হয়েছেন তারা ধর্তব্যের বিষয় নন।

ভোটারদের একটি গোপন অংশ ট্রাম্পকে বাঁচাতে পারবেন বলে যারা আশা করছেন, তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে এথিক্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসি সেন্টারের সিনিয়র ফেলো হেনরি ওলসেন বলেছেন যে, এই মূহুর্তে তৃতীয় পক্ষকে সমর্থন করছেন এমন লোক খুব বেশি নেই। ওলসেন একটি ইমেইল বার্তায় বলেছেন যে, কিছু রক্ষণশীল ভোটার প্রায়শই নির্বাচনের কয়েক মাস আগে উদারপন্থী প্রার্থীর সমর্থনে দাঁড়িয়ে যান। তবে, শেষ পর্যন্ত তাদের অনেকেই রিপাবলিকান শিবিরে ফিরে আসেন।

উত্তর ক্যারোলাইনা হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ্স’র রিপাবলিকান স্পিকার টিম মুর বলেছেন, ‘আমি যে বিষয়টিতে অবাক হই: আপনি যদি একটি দেশ হিসাবে আমরা কতটা বিভক্ত, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জাতীয় স্তরে দু’পক্ষের কতটা মেরুকরণ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবেন, সেক্ষেত্রে কতজন মানুষ সত্যিই সিদ্ধান্তহীন?’ মুর বিশ্বাস করেন যে, ভোটাররা যারা বলেছেন যে তারা আজ সিদ্ধান্তহীন, তারা ট্রাম্পের পক্ষে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং তাকে বিজয়ী হতে সহায়তা করবেন। (সমাপ্ত)



 

Show all comments
  • Mujahidul Islam Safi ২১ আগস্ট, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
    আমেররিকার জনগণ ট্রাম্পকেই আবার নির্বাচিত করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মেহেদী ২১ আগস্ট, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    ওদিকে রাশিয়া তো আছেই। সিস্টেম হ্যাক করে আবারও ট্রাম্পকে বিজয়ী করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মেহেদী ২১ আগস্ট, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
    ট্রাম্পের মতো পাগল মানুষ যদি আরেকবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয় তাহলে আমেরিকা শেষ।
    Total Reply(0) Reply
  • হিমেল ২১ আগস্ট, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
    এবার আর ট্রাম্প জিততে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

১৪ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ