Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইসলামী আন্দোলন
বিতর্কিত শিক্ষানীতি শিক্ষাআইন ও ঈমান বিধ্বংসী সিলেবাস অবিলম্বে বাতিল এবং মসজিদের খুৎবাহ নির্দিষ্টকরণ ও নজরদারির নামে খবরদারি ইসলামী জনতা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের ঈমান ও আমলের উপর চরম আঘাতকারী এই শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও বিতর্কিত সিলেবাস বাতিলে প্রয়োজনে ঈমানদার জনতা জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বিতর্কিত শিক্ষানীতি, শিক্ষাআইন এবং পাঠ্যসূচির মাধ্যমে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কোনদিন পূরণ করতে দিবে না মুসলমানরা। ভারতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত নিয়ে অতিকৌশলে সিলেবাসের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ঈমানহারা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইসলামের উপর এত বড় আঘাত অতীতে কোনদিন হয়নি। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঈমান বিনাশী চক্রান্ত রুখে দাঁড়াতে ময়দানে নেমে আসার আহ্বান জানান।
২১ জুলাই পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, নগর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আবদুল কাদের ও আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ ও প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম তালুকদার, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুফতী হেমায়েতুলাহ ও প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ, শায়খুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, এড. আব্দুল মতিন, এড. শেখ লুৎফুর রহমান, আলহাজ্ব আবদুর রহমান, বরকতউল্লাহ লতিফ, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আলহাজ্ব সৈয়দ আলী মোস্তফা, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, এড. একেএম এরফান খান, আলহাজ্ব কে জি মাওলা প্রমুখ।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম আরও বলেন, মসজিদের খুৎবাহ নির্দিষ্টকরণ করে দলীয় লোকজন দ্বারা নজরদারির নামে খবরদারি মুসলিম জনতা মেনে নেবে না। মসজিদগুলোকে নজরদারির অর্থই হলো মসজিদে থেকে সন্ত্রাস তৈরি হওয়া এধরণের চিন্তা আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর হবে না। মসজিদ আল্লাহর ঘর মসজিদ থেকে সন্ত্রাসী, উগ্রপন্থি তৈরি হয় না। মসজিদ থেকে সৎ, আলাহভীরু ও সত্যিকার দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি হয়। কাজেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিশ্বে আমাদের খারাপ চোখে দেখবে। তাই এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা কঠোর হস্তে দমন করুন, তাতে আমরাও সহযোগিতা করবো।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী বলেন, ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক জুমার খুতবায় হস্তক্ষেপ সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। ৯২% মুসলমানদের দেশে জুমার খুতবা নিয়ন্ত্রণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এভাবে চলতে দেয়া হলে এক সময় প্রকৃত ধর্ম পালন করা কঠিন হয়ে পড়বে। ধর্মের বিভিন্ন শাখায় পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়ে জাতির সামনে ধর্মের একটি বিকৃতরূপ উপস্থাপিত হবে। হারিয়ে ফেলবে মুসলমানরা তাদের নিজস্ব স্বক্রিয়তা। সুতরাং এখনই সময় এর তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলার।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, বিতর্কিত শিক্ষা আইন ও শিক্ষানীতির কারণে মুসলমান জাতীকে একটি বিজাতীয় জাতিতে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে ডালপালা বিস্তার করতে শুরু করেছে। সুতরাং এ বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০ ও এ নীতির আলোকে প্রণীত খসড়া শিক্ষা আইন ২০১৬ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। দেশের জনগণকে এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদেরকে অপ্রতিরুদ্ধ মনে করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামী কর্মতৎপরতা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ