Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন হঠকারী

আইনের খসড়ায় ইসির অনুমোদন সাংবাদিকদের মাহবুব তালুকদার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় আবারো নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনকে তিনি হঠকারী বলে অভিহিত করেন। এর আগে ২৪ আগস্ট কমিশন সভায় প্রস্তাবিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী (আরপিও) এবং স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা আইনেরও বিরোধিতা করেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ সালের একটি ঐতিহাসিক আইনি দলিল, যা মহান স্বাধীনতার অনন্য স্মারক। নির্বাচন কমিশনের নতুন আইনের প্রস্তাব গৃহীত হলে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর অঙ্গহানি ঘটবে। এতে করে এই আদেশকে বিকলাঙ্গ মনে হবে।
গতকাল নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, ইসির ৭০তম কমিশন সভায় ভিন্নমত পোষণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তিনি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’এর ষষ্ঠ অধ্যায়টি কর্তন করে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন, ২০২০ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করি। আরপিও থেকে একটি অংশ নিয়ে আলাদাভাবে আইন প্রণয়ন করলে সেটি হবে হঠকারী সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, আইনটি মতামত যাচাইয়ের আগে অধিকতর যাচাই বাছাই ও এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনে আরও আলোচনার প্রয়োজন ছিল। দেশের অন্যতম বড় দুইটি রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য দলও এই আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করেছে।

দল নিবন্ধন আইনের খসড়ায় ইসির অনুমোদন : কমিশনার মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিলেও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ এর অনুমোদন দেয়া হয়। সংশোধনীগুলো সম্পন্ন হলে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এটি অনুমোদন পায়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৭ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩১ পিএম says : 0
    একটি বিষয় খুবই দৃষ্টি কুট হয়ে বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। সেটাহল নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রায়ই নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছেন। নিন্দুকেরা বলছেন দুঃখজনক হলেও সত্য যে, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের কোন রকম অভিমত কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা গ্রাহ্য করছেন না। নিন্দুকেরা আরো বলছেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার একজন বিজ্ঞ লোক তাঁর অভিমত এভাবে হেলাফেলা করা সঠিক নয়। তাঁর বিরোধীতার বিষয়গুলো অবশ্যই কর্যপ্রনালিতে নিয়ে চুল চেড়া বিশ্লেষণ করা দরকার। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা রাজনৈতিক নেতাদের মত করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে তাদের প্রতিদন্দি হিসাবে নিয়ে তার কথার কোনই মর্যাদা দিচ্ছেন না। নিন্দুকেরা মন্তব্য করে বলছেন যে, এতে করে দেশের জনসাধারণের মনে নির্বাচন কমিশনের করা এসব আইন নিয়ে বিরুপ মনভাব দেখা দিয়েছে। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের কর্মকর্তাদেরকে সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাহবুব তালুকদার

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ