Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আরো তিন দিনের রিমান্ডে ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ

হাইকোর্টে যাচ্ছেন প্রদীপের আইনজীবী

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ৭:৩১ পিএম | আপডেট : ৭:৩২ পিএম, ২৮ আগস্ট, ২০২০

ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দুর আরো তিন দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছে আদালত।

কক্সবাজারের আদালতে বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।

তারা বলেছেন, অনরেকর্ড গত ৬ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত ২২ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। সিআরপিসিতে স্পষ্ট বলা আছে, সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর্যন্ত পুলিশ কাস্টডিতে রাখা যাবে। আজকে ২২ দিন হলো। আমরা শিগগিরই উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবো।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকালে আদালত প্রাঙ্গণে আসামী পক্ষে নিয়োজিত চট্টগ্রাম থেকে আসা আইনজীবীরা এসব কথা বলেন।

এর আগে বেলা সোয়া ৩টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টেকনাফ-৩ আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামী টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে হাজির করা হয়।

তাদের প্রত্যেকের জন্য তৃতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলম।

শুনানি শেষে বিচারক তামান্না ফারাহ ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশের দ্বিতীয় দফায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করছিলেন একই আদালত। তার আগে আসামীদের সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর এপিবিএন এর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ খান।

গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে প্রদীপসহ পুলিশের নয়জনকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ পৃথক তিনটি মামলা করেছে। পরে সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় আরো একট মামলা হয়েছে।

এ মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশের ৭ জন, এপিবিএনের ৩ জন ও স্থানীয় ৩ জন বাসিন্দা (পুলিশের মামলার সাক্ষী) গ্রেফতার হয়েছেন। মামলা তদন্ত করছে র‌্যাব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ