টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও শ্বশুরের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। দন্ডিতরা হলেন ভুঞাপুর উপজেলার অর্জুনা গ্রামের জহিরুল ইসলাম (২৫) ও তার বাবা মজনু মিয়া (৫৫)।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ কে এম নাছিমুল আক্তার নাসিম জানান, জহিরুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার কুঠিবয়রা গ্রামের সলিম উদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকা দাবি করে তাসলিমার ওপর নির্যাতন করা হতো। সিএনজিচালিত অটো কেনার জন্য দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয়। তাসলিমার পরিবার যৌতুকের দেড় লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর তাসলিমাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। তিনদিন পর ভুঞাপুরের গোবিন্দাসী ঘাট থেকে তাসলিমার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার বাবা সলিম উদ্দিন বাদী হয়ে একই বছরের ১ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জহিরুল ইসলাম ও মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্ত হন। গতকাল তাদের আদালতে হাজির থাকার কথা থাকলেও তারা উপস্থিত হননি। তাদের অনুপস্থিতিতেই এ রায় প্রদান করা হয়। বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ কে এম নাছিমুল আক্তার নাসিম। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. খন্দকার ফায়েকুজ্জামান নাজিব।