Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উজানের প্রবল স্রোত আর নাব্যতা সংকটে পায়রা মোংলা বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের নৌযোগাযোগ বিপর্যয়ের কবলে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:০২ পিএম

নাব্যতা সংকটের সাথে উজানের ঢলের প্রবল স্রোতে পায়রা, মোংলা ও বরিশাল বন্দর সহ সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের সংক্ষিপ্ত নৌপথ, ‘মিয়ারচর চ্যানেল’টি গত মাসাধীক কাল ধরে বন্ধ । ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের শতশত নৌযানকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে যাত্রীবাহী নৌযান সহ সব ধরনের নৌযানেরই পরিচালন সময় বেড়েছে দেড় থেকে দু ঘন্টা। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির সাথে বাড়ছে জ্বালানী ব্যায়ও। অতিরিক্ত জ¦ালানী ব্যায় করেও বেশীরভাগ নৌযানই সময়মত গন্তব্যে পৌছতে না পারায় যাত্রীদের নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার নৌ প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রনালয়ে একটি সভা আহবান করেছেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকেই একটি সমাধান সূত্র আশা করছেন এ নৌপথ ব্যাবহারকারী সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিআইডব্লিউটিএ গত ৫ আগষ্ট নৌÑসতর্কীকরন বিজ্ঞপ্তিতে ‘ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ পথের মিয়ারচর ড্রেজিং খাড়িতে ৮ফুট পানির গভীরতা পাওয়া গেলেও চলমান বণ্যায় ও প্রবল শোতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পলি জমা হয়ে পানির গভীরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে’ বলে জানায়। কতৃপক্ষ ‘বর্তমানে পূর্ণ ভাটার সময় মিয়ারচরের কিছু কিছু এলাকায় ৬ফুট পানির গভীরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে’ বলে জানিয়ে, ‘অনধীক ৮ফুট গভীরতার নৌযানকে হিজলা-শৌলা-চরপ্রকাশ-লক্ষ্ণীরচর চ্যানেল ব্যাবহারের পরামর্শ’ প্রদান করে। পাশাপাশি ‘৮ ফুটের অধীক গভীরতার নৌযানগুলোকে কালিগঞ্জ-উলানিয়া-ইলিশা-চাঁদপুর হয়ে চলাচলের’ নির্দেশনা জারি করে।
বরিশালÑমিয়ারচরÑচাঁদপুর নৌপথের মিয়ারচর এলাকাটি অত্যন্ত স্পর্ষকাতর ও ঝুকিপূর্ণ হিসেবেই বিবেচতি হয়ে আসছে নৌযানের কাপ্তেনদের কাছে। ঐ চ্যানেলটি ব্যাবহার করে দক্ষিণাঞ্চল থেকে চাঁদপুর ও ঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নৌ যোগাযোগ সহজতর বিধায় বিআইডব্লিউটিএ গত কয়েক বছরে একাধীকবার চ্যানেলটি ড্রেজিং সহ নৌ-সংকেত ব্যবস্থা পূণর্বাশন করেছে। কিন্তু উজানের অত্যাধীক বালু মিশ্রিত শ্রোতের কারনে বার বারই চ্যানেলটি ভড়াট হয়ে যাওয়ায় নাব্যতা ধরে রাখা দুঃস্বাধ্য হয়ে পড়ছে।
এরপরেও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও বিআডিব্লিউটিএ বিষয়য়টি নিয়ে অনেক সমিক্ষা করে পুনরায় চ্যানেলটি চালুর লক্ষে ড্রেজিং করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান সরেজমিনে চ্যনেলটি পরিদর্শন করেছেন। এ লক্ষে হাইড্রেগ্রাফী সার্ভেও সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে ‘রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সংযূক্ত নৌপথ উন্নয়ন প্রকল্প’র মাধ্যমে মিয়ার চরের ড্রেজিং সম্পন্ন করা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পরে বলে বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের একাধীক সূত্র জানিয়েছে। ড্রেজিং শুরু থেকে তা সম্পন্ন করতে প্রায় ৩মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানা গেছে।

বরিশাল চেম্বারের সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের সত্বাধিকারী সাঈদুর রহমান রিন্টু অবিলম্বে মিয়ারচর চ্যানেলটির নাব্যতা উন্নয়ন সহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকা সহ উত্তরবঙ্গের নৌযোগাযোগ নিরাপদ ও সহজতর করার দাবী জানিয়েছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ