Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ছয় মাস সাগরে ভেসে ২৯৭ রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

দীর্ঘ ছয় মাস সাগরের অথৈ পানিতে ভেসে থাকার পর শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশে সমর্থ হয়েছে ২৯৭ রোহিঙ্গা। সোমবার ভোরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় আচেহ প্রদেশে নামতে সমর্থ হয় তারা। স্থানীয় পুলিশ প্রধান রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যরাতে প্রথম উপকূলীয় এলাকায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি কাঠের নৌকা শনাক্ত করে স্থানীয় জেলেরা। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৮১ নারী ও ১৪ শিশুও রয়েছে। এছাড়া ১৩ বছরের একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের সবাইকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষ করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়টিই মূল উদ্বেগের বিষয়। পুলিশের দাবি, ছয় মাস আগে ‘বাংলাদেশ থেকে’ মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার এ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। উপকূল থেকে কয়েক কিলোমিটার দ‚রে প্রথম রোহিঙ্গাদের দেখতে পান স্থানীয় এক জেলে। পরে তাদের উজং ব্ল্যাং সৈকতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে ২০২০ সালের জুনে নৌকায় ইন্দোনেশিয়ার উপক‚লে পৌঁছালে ৭৯ জন নারী ও শিশুসহ শ’খানেক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় স্থানীয় জেলেরা। ওই সময়ে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের আবারও সাগরে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয় জেলেদের প্রতিবাদের মুখে তা সম্ভব হয়নি। সাইফুল আমরি নামের এক জেলে বলেন, ‘সরকার যদি না পারে তাহলে আমরা জেলে সমাজ তাদের সহায়তা করবো। কারণ আমরা মানুষ, তারাও (রোহিঙ্গা শরণার্থীরা) মানুষ এবং আমাদের হৃদয় আছে।’মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় খোঁজে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে থাকা অনেক রোহিঙ্গাও অপেক্ষাকৃত উন্নত জীবনের আশায় নৌকায় করে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া যেতে আগ্রহী। কিন্তু করোনার কারণে এসব দেশ সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের নৌকা তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না। ফলে দীর্ঘদিন সাগরে ভেসে থেকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে রাষ্ট্রহীন এ জনগোষ্ঠীর বহু মানুষ। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেছেন, তার দেশের পক্ষে আর রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে যাওয়াকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তবে স্থানীয় জেলেদের অপরিসীম মানবিকতার কাছে শেষ পর্যন্ত পর্যুদস্ত হচ্ছে সরকারের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি। রয়টার্স, ডিডব্লিউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ