Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এক ব্যক্তির কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় বিল উত্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

এক ব্যক্তির কোম্পানি প্রতিষ্ঠার সুযোগ রেখে জাতীয় সংসদে কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল- ২০২০ উত্থাপন করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল সোমবার সংসদে বিলটি উত্থাপনকালে বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তবে সংসদ সেটা আমলে নেয়নি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরআগে বিল সংসদে উত্থাপন না করার প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

কোম্পানি আইন অনুযায়ী, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পরিচালিত হয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে। এই পর্ষদ বা বোর্ডের পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। তবে প্রস্তাবিত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, এক ব্যক্তির কোম্পানি হল সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন।

ওই বিধানের বিরোধিতা করেন মো. ফখরুল ইমাম। তিনি বিলটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মন্ত্রিসভায় ব্যবসায়ীরা থাকায় এমন আইন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এক ব্যক্তির সংজ্ঞা হিসেবে একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি স্পষ্ট করার দাবি করেন। জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বিষয়গুলো সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করা হবে বলে জানান। একইসঙ্গে তিনি নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তুলে ধরে জানান, কারও কাছে তিনি হাত পাতবেন না বলে ব্যবসা করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে রয়েছেন। ঢাকায় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিলটি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের কোম্পানি আছে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সরকার এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তির কোম্পানির পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হবে অন্যূন ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১০ কোটি টাকা। অব্যবহিত পূর্ববর্তী অর্থবছরের বার্ষিক টার্নওভার অন্যূন দুই কোটি টাকা এবং ১০০ কোটি টাকা হবে। পরিশোধিত শেয়ার মূলধন এবং বার্ষিক টার্নওভারের বেশি হলে শর্তপূরণ সাপেক্ষে এক ব্যক্তির কোম্পানিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বা ক্ষেত্রমত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা যাবে। এক ব্যক্তির কোম্পানিকে বছরে কমপক্ষে একটি পরিচালক সভা করতে হবে।

বিলে বিধান অনুযায়ী, পরিচালক এবং প্রধান ব্যক্তি একজন থাকবেন বলে এ ধরনের কোম্পানি পর্ষদ সভা করা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নিয়মের ছাড় পাবে। একমাত্র সদস্য মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি সব শেয়ারের স্বত্তাধিকারী হবেন। কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি এবং কমিশনের মাধ্যমে দলিলে স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, কোম্পানি উঠে গেলে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোম্পনি আইন সংশোধন করে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমান আইনে ১৪ দিনের নোটিশে বোর্ড মিটিং করার বিধান আছে। এটাকে ২১ দিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে বিলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিল-উত্থাপন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ