ঢাকার ধামরাইয়ে জুলেখা আক্তার নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের পর নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশ। গতকাল সকাল ১০টার দিকে উপজেলার যাদবপুর গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জুলেখা আক্তার ধামরাইয়ের যাদবপুর এলাকার মেহেদী হাসানের স্ত্রী। নিহত জুলেখা আশুলিয়া থানার গোয়ালবাড়ি গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে প্রায় দেড় বছর আগে আগে তাদের বিয়ে হয়েছিলো।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে জুলেখার ঘরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তারা। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহত জুলেখার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শাশুড়ির সাথে প্রায়ই যৌতুকের টাকার জন্য ঝগড়া লাগতো। অনেকেই ধারণা করছেন গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত জুলেখার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। তা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মাহত্যা করেছেন। নিহতের পরিবার এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেছে। হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামী মেহেদী হাসানকে আটক করেছে পুলিশ।
ধামরাই থানার এসআই আজাহারুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা জসিম উদ্দিন মেয়ের স্বামী, শ্বশুর-শাশুরিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।