Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধারের পূর্বাভাস : এডিবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:২৯ পিএম

চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এটিকে কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রবণতারই ইঙ্গিত বলে মনে করছে সংস্থাটি।

আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এডিবির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২০-এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের শক্ত ভিত্তি এবং রফতানি গন্তব্যগুলোতেও প্রবৃদ্ধিতে গতি আসার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ক্রমান্বয়ে পুনরুদ্ধার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সহনশীল মাত্রায় (৫.৫%) থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও কমে ১ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিচক্ষণতা এবং দ্রুততার সঙ্গে প্রণোদনা পরিকল্পনার বাস্তবায়নই এই সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মূল চাবিকাঠি বলেও উল্লেখ করেছে এডিবি।

এই প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে দীর্ঘায়িত মহামারী অথবা এই দেশের রফতানি গন্তব্যগুলোর অবস্থা।

এ ব্যাপারে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মহমোহন প্রকাশ বলেন, মহামারী পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। স্বাস্থ্য ও মহামারী ব্যবস্থাপনা নিয়ে উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে থেকেও সরকার ভালোভাবেই অর্থনীতিকে ধরে রাখতে পেরেছে। মূলত দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক সেবা ও পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে উপযুক্ত প্রণোদনা এবং সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম নেয়ার কারণে এটি সম্ভব করতে পেরেছে সরকার।

তিনি বলেন, রফতানি ও রেমিট্যান্সে অর্থনীতির সাম্প্রতিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বৈদেশিক তহবিলের জোগান নিশ্চিত করতে সরকারের সামষ্টিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনা এই পুনরুদ্ধারকে সম্ভব করেছে।

আগেভাগে ভ্যাকসিন প্রাপ্তি এবং স্বাস্থ্য ও মহামারী ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়া এই পুনরুদ্ধার প্রবণতাকে সহায়তা করবে উল্লেখ করে মহমোহন বলেন, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, রফতানি বৈচিত্র্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই সঙ্কটই একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। আর এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে এডিবি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবেলা এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা দিতে এডিবি এরই মধ্যে বাংলাদেশকে প্রাথমিকভাবে ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। এছাড়া ২০২১-২৩ পর্যন্ত সময়ে সহযোগিতা করতে আরো ১১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দেবে।



 

Show all comments
  • saif ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৩৫ পিএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ রহম করুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এডিবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ