Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া জিনের বাদশাকে কারাগারে প্রেরণ

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:৫৪ পিএম

মানুষের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মূলহোতা জি¦নের বাদশা হাকিম চৌধুরীকে (৪৫) মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ এর কাছে হাজির করা হলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন। পরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম চৌধুরীকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। এর আগে রোববার ভোরে চট্টগ্রামের রাউজান এলাকা থেকে কথিত জি¦নের বাদশাকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশ।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা জানান, ভারতীয় জি-বাংলা ও দেশের বেশ কয়েকটি টিভিতে জি¦নের বাদশা সব রোগ সারাতে পারে এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে একটি প্রতারক চক্র। নানা ধরনের রোগের মুক্তির কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া সব মিলে আমরা ব্যাংক থেকে নগদ টাকা ও এফডিআরসহ ৬৮ লাখ টাকা ইতিমধ্যে জব্দ করেছি। প্রতারক চক্র সারা দেশ থেকে প্রায় তিনশতাধিকের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। চেহারা পরিবর্তণ করে টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়া হাকিমকে সহজেই কেউ চিনতে পারতো না।
গত ৯ আগস্ট এই প্রতারকচক্রের কাছে মাদারীপুরের এক গৃহীনি ৫৮ লাখ টাকা খুইয়ে বিচারের আশায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে গত ২৬ আগস্ট প্রথম ধাপে ৪ লাখ টাকা উদ্ধারসহ এই চক্রের দুই সদস্য জসিম উদ্দিন ও আবদুর রহমান আমানকে চট্টগ্রামের রাউজান থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৪দিন অভিযান চালিয়ে মূলহোতা হাকিম চৌধরীকে রোববার ভোরে একই স্থান থেকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশ। হাকিমকে নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের অভিযান শেষে স্থানীয় থানায় আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে সোমবার মাদারীপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ এর কাছে হাজির করা হলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালতের বিচারক প্রতারক হাকিম চৌধুরীকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



 

Show all comments
  • AHM Babar Siddiui ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:২৯ পিএম says : 0
    যাহারা ওকে তাকা দিয়াছে তাদের কেও গ্রেপ্তার কর হক,
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Sirajullah, M.D. ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:৩৮ পিএম says : 0
    Sorry to say that this should not be considered as crime. People believe in JIINs power of healing and other miracles. Tihs like believing in Homeopathy, Kabiraji, Unany system of Medicine. One who believes in these systems will go to them and get the rewardsd they deserve. If these practitionersd asre not considered as cgeaters, JIIN people also should not be considered as cheaters. The Best thing will be the Health department shouild recognise JIINy sysyem and give the pracvtioners license to practice like other types oif Medical practitioners. There shouild be a JIIN Medical Board.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিনের বাদশা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ