Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইউএনও শঙ্কামুক্ত

বাবার জন্য আজ বসছে মেডিক্যাল বোর্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। এছাড়ার একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবা ওমর আলী শেখকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য আজ মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠক করবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল হক জানান, খুব দ্রæত ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে; যা সত্যিই বিস্ময়কর। তিনি বলেন, ওয়াহিদার শরীরের ডান পাশ প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিল। কয়েকদিন আগে আমরা দেখেছি তিনি ডান হাত নাড়াতে পারছেন, মাথার ওপর তুলতে পারছেন। এখন ওয়াহিদা তার ডান পা নাড়াতে পেরেছেন। এটি সত্যিই খুব ভালো খবর। 

তিনি আরো জানান, ওয়াহিদার মাথার সব সেলাই কাটা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের স্থানে কোনো সমস্যা নেই। তবে তিনি নিজে থেকে ইউরিন পাস করতে পারছেন না, ক্যাথেটার ব্যবহার করতে হচ্ছে। এজন্য তাকে আমরা কেবিনে দিতে পারছি না।
ইউএনও ওয়াহিদার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ওই চিকিৎসক বলেন, ওনার যেহেতু বয়স বেশি, তাই সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। এর আগে তার শারীরিক সব পরীক্ষাই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে। তারপরও আমরা আবারও তার সব পরীক্ষা করাচ্ছি। তার চিকিৎসায় আজ শনিবার মেডিক্যাল বোর্ড আলোচনায় বসবে। ততদিনে সব পরীক্ষার রিপোর্টও আমাদের হাতে চলে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ইউএনও ও তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তারপর ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। অস্ত্রোপচার শেষেই তাকে ৭২ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপর হাই ডিফেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউত) স্থানান্তর করা হয় তাকে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
এছাড়াও ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের একটি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। বাবা-মেয়ে দুজনই বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার মালি রবিউলকে ফের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনদিনের রিমান্ড শেষে আগামীকাল তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সং¤িøষ্টরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউএনও

১৭ নভেম্বর, ২০২১
৮ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ