Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কার্যকর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে অতিবেগুনি রশ্মি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

অতিবেগুনি রশ্মিতেই নাকি রোধ করা সম্ভব হবে কোভিড-১৯ ভাইরাস। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকরা বলছেন, ২২২ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে অতিবেগুনি রশ্মির প্রয়োগে করোনাভাইরাস শক্তি হারাবে। এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে রশ্মি মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারকও নয়। ফলে তা থেকে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই।

জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘আমেরিকান জার্নাল অফ ইনফেকশন কন্ট্রোল’এ। এতে দাবি করা হয়, মাত্র ৩০ সেকেন্ড ধরে ২২২ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে অতিবেগুনি রশ্মি প্রয়োগ করলে ৯৯.৭ শতাংশ সার্স-কোভ-২ ভাইরাস মারা যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রের লেখক হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরোকি কিতাগাওয়া জানিয়েছেন, ভিট্রো পরীক্ষায় দেখা গেছে কীভাবে ২২২ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসকে।

পরীক্ষাটি করা হয়েছে ইউভিসি ল্যাম্পের সাহায্যে। একটি প্লেটে ভাইরাস মিশ্রিত দ্রবণ রাখা হয়েছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর দ্রবণটি শুকিয়ে গেলে, তাতে অতিবেগুনি রশ্মি প্রয়োগ করেন গবেষকরা।
গবেষণালব্ধ ফলাফল বলছে, এটি জীবিত কোষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য মানুষের চোখ কিংবা ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে অতিবেগুনি রশ্মির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার বিষয়টি সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তারপরই এ বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে। এখনো পর্যন্ত পরীক্ষা যা হয়েছে তা কেবল ভিট্রো কার্যকারিতার।

ভয়ঙ্কর সংক্রামক করোনা ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারী রূপে দেখা দিয়েছে। গোটা বিশ্ব উন্মুখ রয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় অনুসন্ধানের বিষয়ে। এখন দেখার বিষয় ভাইরাস দমনে অতিবেগুনি রশ্মির এই কার্যকারিতা সম্পর্কে শেষ পর্যন্ত গবেষকরা নিঃসংশয় হতে পারেন কিনা। সূত্র : টাইমস নাও/ডেকান হেরাল্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ