Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নান্দাইলে সড়কের পাশে মরা গাছ যেন মরণ ফাঁদ, কর্তৃপক্ষের নজর নেই

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৪১ পিএম

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ দু‘টি ব্যস্ততম সড়কের পাশে শতাধিক মরা গাছ যেন আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন সময়ে সামান্য ঝড় ও বাতাসে মরা গাছগুলো সড়কের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। এতে পথচারীদের দূর্ঘটনার ভয় আশংকা সহ বিঘিœত হচ্ছে যান চলাচল। বিশেষ করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন এক একটি মরণ ফাঁদ। স্থানীয়রা এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানালেও এ বিষয়ে নজর নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ বা বনবিভাগের। সরজমিন পরিদর্শনে দেখাগেছে, নান্দাইল উপজেলা সদর হতে বাকচান্দা বাজার এবং বারুইগ্রাম চৌরাস্তা হতে আঠারবাড়ী সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজের শত শত মরা গাছ দাড়িয়ে রয়েছে। যেকোন সময় উক্ত গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে ঘটছে বিভিন্ন দূর্ঘটনা। নান্দাইল বাকচান্দা বাজার রাস্তার দু‘পার্শে সারি সারি শিশু প্রজাতির গাছ অর্ধমৃত ও পুরো মৃত গাছ শুকিয়ে রয়েছে। অপরদিকে নান্দাইল চৌরাস্তা-আঠারবাড়ী রাস্তার ফুলবাড়ীয়া, বাশঁহাটি ও শান্তিনগর নামক স্থানে রাস্তার পাশে প্রায় অর্ধশত ছোটবড় বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ মরে গেছে। তবে গাছের ডালপালা ও পাতা নেই, মরে শুকিয়ে আছে। আবার কোন কোন গাছের ডালপালা কে বা কাহারা রাতের আধারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গাছের বাকল পর্যন্ত তুলে নিয়ে যাচ্ছে আবার যে যার মতো সুযোগ বুঝে জীবিত বা মৃত গাছগুলোর ডালপালা কেটে নিয়ে মুন্ড বানিয়ে দিচ্ছে গাছগুলোকে। পরে সেগুলোও আবার ঝোপ বুঝে কোপ মেরে নিয়ে যায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল। এছাড়া রাস্তার পাশে অর্ধকাটা জীবিত ও মৃত গাছ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যেকোন সময় সেগুলো চলে যাবে পাকঘরের উনুনে। এ যেন দেখার কেউ নেই। উক্ত গাছগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রনে কেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে সুশীল সমাজের লোকজন। তা না হলে গাছ বা গাছের ডালপালা ভেঙ্গে সড়কের পড়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী কর্মকর্তা মাহমুদ সালেহিন জানান, মৃত গাছগুলো কাটার ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য বনবিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বনবিভাগের কর্মকর্তা বাবু দিপঙ্কর রায় জানান, করোনার কারণে টেন্ডার পিছিয়ে পড়েছিলো। তবে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হবে এবং সেখানে নতুন গাছের চারাও রোপনের ব্যাবস্থা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ