Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফরিদপুর মেডিকেলে শিশু চুরি, ৭ ঘন্টা পর উদ্ধার

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:৩১ পিএম

‘মেয়ের মুখে হাসি ফোঁটাতে’ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সদ্যজাত একটি শিশু চুরি করে এক মা। পরে চুরি যাওয়া শিশুটিকে ৭ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয় সদরপুর উপজেলার ঠেঙ্গামারী থেকে।
এ ঘটনায় পুলিশ শিশু চুরির সাথে দুইজনকে আটক করেছে। সোমবার ১১টার দিকে চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করে দুপুর ১টার দিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ।
হাসপাতাল, পুলিশ ও আকলিমা বেগমের স্বজনদের সুত্রে জানা গেছে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভর্তি হন সন্তান সম্ভাবা মা আকলিমা বেগম (২২)। আকলিমা মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার সৈয়দ নূর শিরখাড়া গ্রামের রুবেল মুন্সীর স্ত্রী। রুবেল মুন্সী একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
গত রবিবার অস্ত্রপচারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন আকলিমা। অস্ত্রপচারের পর আকলিমা ও তার সদ্যজাত শিশুকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে রাখা হয়। একই দিন অস্ত্রপচারের মাধ্যমে আরেক মা আন্না বেগম (২৪) একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। ওই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শিশুটি মারা যায়। কিন্তু ওই প্রসূতির মা ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঠেঙ্গামারী গ্রামের ইসমাইল মোল্লার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০) নিজের মেয়ের কোল ভরিয়ে দিতে গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আকলিমার সদ্যজাত শিশুটি চুরি করেন। তিনি শিশুটিকে চুরি করে প্রথমে ফরিদপুর সদরের নিখুর্দী গ্রামে মেয়ে লাবনী বেগমের (২২) বাড়িতে রাখেন। পরে তাকে সদরপুরে ঠেঙ্গামারীতে নিয়ে যান।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই প্রবীর রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে নিখুর্দী ও পরে ঠেঙ্গামারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোমবার বেলা ১১টার দিকে নাজমা বেগমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আকলিমার চুরি যাওয়া শিশুকে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নাজমা বেগম ও তার এক মেয়ে লাবনী বেগমকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, নিজের মেয়ের কোল ভরিয়ে দেওয়ার জন্য আকলিমার শিশুকে চুরি করেছিলেন নাজমা বেগম। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শিশু চুরির অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, সোমবার দুপুর ১টার দিকে আকলিমার সন্তানকে তার স্বামী রুবেল মুন্সীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ