Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তালেবানের সাথে সংঘর্ষে নিহত ১৪ আফগান সেনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

চলমান শান্তি আলোচনা সত্তে¡ও আফগানিস্তানে নিরবচ্ছিন্নভাবে সহিংসতা চলছে। সোমবার দক্ষিণ আফগানিস্তানে তালেবানদের সাথে তীব্র লড়াইয়ের সময় কমপক্ষে ১৪ জন আফগান সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে সোমবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তালেবান যোদ্ধারা রোববার গভীর রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় উরুজগান প্রদেশে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকটি অবস্থানের উপর ব্যপক হামলা শুরু করে, এতে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় সেখানে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে সরকারী সেনাবাহিনী। সরকারি-নিয়ন্ত্রিত জেলা গিজাবও বিদ্রোহীদের হাতে চলে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। উরুজগান প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র জেলগাই এবাদি বলেন, ‘তীব্র লড়াই চলছে। আমাদের বাহিনী বেশ কয়েকটি চৌকি থেকে পিছু হটেছে।’ সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ১৪ জন সদস্য নিহত এবং এক ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন। উরুজগান প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান আমির মোহাম্মদ বারেকজাই বলেন, ‘লড়াই এখন পুলিশ সদর দফতরের কাছাকাছি। আমাদের আরও জোর লাগানো দরকার।’

এক সপ্তাহ আগে কাতারে শান্তি আলোচনায় বসেছেন সরকারপক্ষ ও তালেবান নেতারা। তার মধ্যেই আফগানিস্তানে অশান্তি। এই সংঘর্ষে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়নি তালেবান। তবে সেনা ও সরকারি মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে অন্ততপক্ষে ৮০ জন তালেবান মারা গেছেন। এর মধ্যে কুন্দুজ, তাখার, বাঘলান প্রদেশে ৫৪ জন মারা গেছেন বলে সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন। শুধু সেনা বা নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরাই নয়, তালেবানের আক্রমণে প্রচুর সাধারণ মানুষ মারা গেছেন বলে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন। তার হিসাব, গত দুই সপ্তাহে তালেবান হানায় দেশের ২৪টি প্রদেশে ৯৮ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ২৫০ জন।

কিন্তু কাতারে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে। তার মধ্যে এই ধরনের রক্তাক্ত সংঘর্ষ কেন? আসলে দুই পক্ষ নিয়মিত আলোচনা করলেও তা খুব বেশি এগোয়নি। এখনো তারা বিরোধের মূল বিষয়গুলিতে ঢুকতেই পারেনি। কথা হচ্ছে পদ্ধতিগত নিয়ম-কানুন নিয়ে। এই অবস্থায় শক্তিপ্রদর্শন ও চাপ দেয়ার জন্যই আফগানিস্তান জুড়ে সংঘর্ষ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ