পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আগেভাগেই শীতকালীন সবজি উৎপাদন হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তারা বলেছেন, মূলত ১৫ অক্টোবর থেকে শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ইতোমধ্যেই যশোর, নরসিংদী, কুমিল্লা ও রংপুরসহ সারাদেশের ‘ভেজিটেবল জোন’ এলাকার মাঠ ভরে গেছে আগাম শীতকালীন সবজিতে। চলতি মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলন হবে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। চাষিরা জানান, শিম, বেগুন, মুলা, লাউ ও বাধা কফিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি প্রতিদিনই মাঠ থেকে কমবেশি বাজারে উঠছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মে. আবদুল মুঈদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সবজি আবাদের জন্য এখন আর গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীনের খুব একটা পার্থক্য নেই। বারোমাসই কমবেশি সবজির আবাদ হয়ে থাকে। তবে আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে প্রচুর। বাজারেও উঠছে আগাম শীতকালীন সবজি। সবজি আবাদের জন্য বর্তমানে আবহাওয়া খুবই উপযোগী।
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম সাহা জানালেন, বাজারে প্রচুর আগাম শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর সূত্র জানায়, সারাদেশে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন দু’টি মৌসুমে সবজি আবাদ হয় ৭ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। মোট উৎপাদন হয় ১ কোটি ৪০লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বড় অংশই হয় শীতকালে। সূত্র জানায়, দেশের মোট সবজি চাহিদার একটা অংশ যশোর অঞ্চল থেকে যোগান হয়। ‘ভেজিটেবল জোন’ যশোর সবজি উৎপাদনে দেশের মধ্যে শীর্ষ হিসেবে চিহ্নিত। বন্যামুক্ত এবং উচু এলাকা হওয়ায় সারাবছরই সবজি উৎপাদন হয়। এই অঞ্চলে শুধু মাঠে নয়, চাষিদের ঘরের আঙিনায় ও এমনকি যাতায়াতের পথ রেখে বহু চাষির উঠান জুড়ে বাণিজ্যিকভাবে সবজি আবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টানা প্রায় দেড় যুগ ধরে যশোর অঞ্চল সবজি আবাদ ও উৎপাদনে শীর্ষ স্থান ধরে রাখছে। সবজি চাষিরা বছরের বারোমাসই শাক-সবজি উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করলেও তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। তাদের উপযুক্ত মূল্য পাওয়ার বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়নি। পাইকারী বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয় না কখনো। সবজি সিন্ডিকেটের দাপটের কারণে উৎপাদক চাষি ও ভোক্তা সাধারণ উভয়েই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা জানান, মাঠের পর মাঠ এখন শীতকালীন সবজি আর সবজি। আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদনের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান চাষিদের। তারা শীতকালীন সবজির বীজতলা তৈরি করেন অত্যন্ত সতর্কতার সাথে। যাতে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মাঠে খবর নিয়ে জানা গেছে, আগাম শীতকালীন সবজিতে মাঠ ভরে গেছে। সবজি চাষিরা ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি মাঠে ব্যতিব্যস্ত। যশোরের আমবটতলা এলাকার সবজি চাষি আব্দুল কুদ্দুস জানান, ‘উৎপাদন তো ভালো কিন্তু দাম ভালো পাচ্ছি না’। ভোক্তাদের কথা, এখনকার সবজির স্বাদ খুবই ভালো। কিন্তু দাম বেশি। মাঠের মূল্যের সাথে বাজার মূল্যের বিরাট ফারাক দুর করার জোরদার উদ্যোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।