Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন এমপি মোকাব্বির খান জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:২৯ পিএম

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান গরীব দু:খী মানুষের আস্তার প্রতিক হয়ে উঠছেন। এমপি মোকাব্বির খান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করায় দুটি উপজেলার জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের জনসাধারণের মধ্যে এখন বলতে শুনা যায়- এমপি মোকাব্বির খান সত্যিই জনদরদী এবং দুর্নীতি বিরোধী।”

দুই উপজেলার নানা পেশা ও শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায়, বিগত দিনে তারা অনেক জনপ্রতিনিধি দেখেছেন। কোন কিছু আদায় করতে হলে নেতা-কর্মী কিংবা দালাল ধরে কাজ করতে হয়েছে। বিনিময়ে দিতে হয়েছে কিছু। নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান সেই নীতি গ্রহণ করতে পারেন-এমন ধারণা ছিল এলাকার মানুষের মধ্যে। কিন্তু সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। তার কাছে যারাই যাচ্ছেন তারাই অবাক হচ্ছেন তাঁর ব্যবহারে। জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যে হাজার হাজার প্রতিশ্রুতি শোনা গেলেও বাস্তবের সাথে মিল পাওয়া যায় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এমপি মোকাব্বির খান তার ব্যতিক্রম। তিনি মাঠে-ময়দানে এবং নির্বাচনী বক্তব্যে যা বলেছেন তা বাস্তবে দেখাচ্ছেন। সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের কাছ থেকে কোন কিছু আদায় করতে নেতা ধরতে হয় না। উন্নয়নের বিনিময়ে দিতে হয় না কিছু।

বিভিন্নভাবে জনদরদী, গরীব-দু:খী ইত্যাদি বাক্য জনপ্রতিনিধিদের আগে পিছে ব্যবহার করা হলেও বাস্তবে কতটুকু সত্যি তা সময় বলে দেয়। বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরের জনগণ ইতিমধ্যে অনেক জনপ্রতিনিধি দেখেছেন। নির্বাচনের পরে কোন খবর নেই। বার বার ধরণা দিয়েও এলাকার সমস্যা সমাধান করতে পারেননি। সে ক্ষেত্রে এমপি মোকাব্বির খান তার আসনে উন্নয়ন বিতরণে প্রতিটি জনপদে চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি সাধারণ জনগণের সাথে মিশে গিয়ে তাদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। একদিকে দিচ্ছেন আশ্বাস অন্যদিকে করছেন উন্নয়ন কর্মকন্ডের উদ্বোধন। একই সাথে তিনি উন্নয়নরে জন্য কোন ধরণের অর্থের লেনদেন না করতে কঠোর নির্দেশনা দিচ্ছেন। দুর্নতির বিরুদ্ধে এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য সংসদে তিনি জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন।

ওসমানীনগর উপজেলার সীমান্তের অবহেলিত জনপদ উসমানপুর ইউনিয়নের মোমিননপুর গ্রামের উপর দিয়ে তালতলা-খালেরমূখ বাজার রাস্তা ‘৩০ বছরেও পাকা হয়নি এক কিলোমিটার রাস্তা’ গণমাধ্যমে এ ধরণের সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি কোন ধরণের প্রচার-প্রচারনা ছাড়াই সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। এ সময় তিনি রাস্তা পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কান্ত হননি। তিনি তাদেরকে বলেন আপনারা আর কি চান? আমার কাজই হচ্ছে আপনাদের জন্য।

এমপি মোকাব্বির খান প্রতিটি এলাকা যাতে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য তিনি সমবন্টন নীতি অবলম্বনসহ অবহেলিত জনপদকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এমপি মোকাব্বির খানের সিলেটের বাসায় গ্রামীণ জনপদের মানুষের ভীড় বেশি লক্ষ্য করা যায়।

এদিকে দুর্নীতিবাজদের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছেন এমপি মোকাব্বির খান। তার উপর হামলা হয়ে হয়েছে তবুও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা ছুটে চলেছেন জনগণের পাশে। এমপি মোকাব্বির খানের উপর হামলার প্রতিবাদে সাধারণ জনগণ মাঠে নেমে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে তিনি গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিতরণ করেছেন ত্রাণ। এতে এমপি মোকাব্বির খান নিজেই করোনাভাইরাসে শুধু আক্রান্ত হননি, তিনি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছেন। এ সময় দেখা যায় নেতা-কর্মীর চেয়ে সাধারণ জনগণই তার জন্য আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করতে।

এব্যাপারে উসমানপুর ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রামের ডা: এনামুল হক বলেন, এমপি মোকাব্বির খান সাহেব উন্নয়নের কাজে বিশ্বাসী। ইতিমধ্যে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি। তিনি দলমত নির্র্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মিশে কাজ করে যাচ্ছেন।

সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খাঁন বলেন, ‘দেশে দুর্নীতিবাজদের অভাব নেই। দেশকে শেষ করে দিতে এই চক্রটি মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাশীন দলের পরিচয় দিয়ে এরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। তবে এদের এখনই থামানো প্রয়োজন। দুর্নীতি একটা মহামারী রোগে রুপ নিচ্ছে। একটা সময় আসবে যখন আমরা আন্দাজ করতে পারবো যে, এই দুর্নীতিবাজরা দেশের কি ভয়াবহ রূপ তৈরী করতে যাচ্ছে।’

মোকাব্বির খান ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসন থেকে গণফোরামের মনোনয়নে উদীয়মান সূর্য্য প্রতীকে জাতীয় পার্টির ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনিই গণফোরামের নির্বাচিত প্রথম সাংসদ। এছাড়াও দলীয়ভাবে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

নিজের মতো করে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধের উপায় দেখিয়ে তিনি বলেন, দেশে যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বচ্চো শাস্তি দিয়ে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে ঠিক তেমনিভাবে দুর্নীতিবাজ শীর্ষ ১২ জনকে শাস্তি দিলে একদিনে ৫০ ভাগ দুর্নীতি কমে আসবে। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন যদি তাতে ৫০ ভাগ দুর্নীতি কমে না আসে তাহলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে রাজি ...।’

নিজের সংসদীয় এলাকায় উন্নয়নে ব্যাপারে মোকাব্বির খান জানান, আমার এলাকায় যে বরাদ্ধ আসে তা সচ্ছভাবে সুষমবন্টন, বেহাল রাস্তা-ঘাটের সংস্কারসহ খোঁজ খবর নিচ্ছি কোথায় কোন সমস্যা আছে। যখনই সমস্যার কথা শুনি তাৎক্ষনিক তা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করি।’

সিলেটে গণফোরামের সাংগঠনিক অবস্থা সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিলো যখন আমরা মানুষকে গণফোরামের যোগ দিতে বলতাম। এখন জণগণ নিজেই এসে আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। এটা আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতাকে আরও জোরালো করছে। গণফোরামের মুল লক্ষই হচ্ছে নিপীড়িত মানুষের হয়ে কাজ করা। অসহায়দের একজন হয়ে কথা বলা। আর আমি সেই কাজই করছি।

 



 

Show all comments
  • ataur rahman ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:৪৯ পিএম says : 0
    জনাব, মোকাব্বির খান এমপির জন্য শুভ কামনা রইল। আপনার উন্নয়নের হাত আরো শক্তি শালী হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • ataur rahman ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:৪৯ পিএম says : 0
    জনাব, মোকাব্বির খান এমপির জন্য শুভ কামনা রইল। আপনার উন্নয়নের হাত আরো শক্তি শালী হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ