নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের দিনও ধারাভাষ্য দিয়েছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। গতকালও নিচ্ছিলেন প্রস্তুতি। কিন্তু হঠাৎ অস্বস্তি বোধ থেকে শুরু, মাত্র আধ ঘন্টায় সব শেষ। হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি ডিন জোন্স। আইপিএলে স্টার স্পোর্টসের হয়ে ধারাভাষ্য দিতে মুম্বাইয়ের একটি সাত তারা হোটেলে ‘বায়োসিকিউর বাবল’ অর্থাৎ জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে ছিলেন এ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কিংবদন্তি। সেখানেই দুপুর ১২টার দিকে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান জোন্স। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তার আকষ্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট মহল। গতকাল দুবাইয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় পাঞ্জাব-ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচ।
এক বিবৃতিতে আইপিএলের ব্রডকাস্টার স্টার স্পোর্টস জানিয়েছে ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ডিন জোন্স মারা গিয়েছেন। মুম্বাইয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তার। এই মুহ‚র্তে তার পরিবারের পাশে আমরা সবাই রয়েছি। তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অস্ট্রেলীয় হাই কমিশনের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’ তার মৃত্যুকে ক্রিকেটের অপূরণীয় ক্ষতি বলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সিএ চেয়ারম্যান আর্ল এডিংসের বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডিন জোন্স একটি ক্রিকেট প্রজন্মের নায়ক ছিলেন এবং আজীবন তার কীর্তির কারণে কিংবদন্তি হিসেবেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
মেলবোর্নে জন্ম নেওয়া অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকা ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত মাঠ মাতিয়েছেন। ৫২ টেস্ট ম্যাচ খেলে ৪৬.৫৫ গড়ে ৩৬৩১ রান করেছেন। ১১টি সেঞ্চুরির মধ্যে সর্বোচ্চ ২১৬ রান ছিল সেরা স্কোর। অ্যালান বর্ডারের দলের গুরুত্বপ‚র্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। সীমিত ওভারের খেলাতেও বেশ সফল ছিলেন জোন্স। ১৬৪টি ওয়ানডেতে রান ৬০৬৮। আছে ৭টি সেঞ্চুরি আর ৪৬টি ফিফটিও।
ক্যারিয়ারে ব্যাটসম্যানশিপের নতুন এক ধারা উন্মোচন করেছিলেন জোন্স। বোলারদের ওপর চড়াও হতে পায়ের দারুণ ব্যবহার করতেন তিনি। অ্যালান বোর্ডারের অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপ‚র্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। যে দলের হাত ধরে ১৯৮৭ সালে ইডেন গার্ডেনে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে দেশটি। ১৯৮৬ সালে চেন্নাইতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টাই হওয়া সেই বিখ্যাত টেস্টে জোন্স ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। বর্নিল এই ক্যারিয়ারের স্বীকৃতি স্বরূপ অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের ‘হল অব ফেমে’ স্থান পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে।
ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকেই কোচিং ও ধারাভাষ্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন আমৃত্যু। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আইপিএলের একজন সক্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক হওয়ায় ভারতীয় গণমাধ্যমের একটি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন জোন্স। এনডিটিভিতে আর অনুষ্ঠান ‘প্রফেসর ডানো’ বেশ জনপ্রিয় ছিল। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন লিগ সম্পর্কে বিশ্লেষণও করেন। নিজের সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন জোন্স। প্রথম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগং কিংসের কোচ ছিলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।