যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড দাবি করেছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। 

এ সময় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড হবে।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে পাপিয়ার স্বামী মফিজুরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী। তিনি তার খালাস প্রত্যাশা করেন। এরপর পাপিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী। তবে তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আগামী রোবাবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
এ মামলায় গত ৮ সেপ্টেম্বর ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। গত ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই মো. আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন। অভিযোগপত্রে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রæয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২৩ ফেব্রæয়ারি সকালে শামিমা নূর পাপিয়ার রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।