Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স ও থানা ভবনের জায়গার আলোচিত মামলা ৬ মাসের জন্যে স্থগিত

বাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:২৭ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্সের জায়গার মালিকানার আলোচিত মামলাটি ৬ মাসের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানীর দিনে উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়। এতে বলা হয় আসামী পক্ষ গত ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে এ মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ফৌজদারী কার্য বিধি ৫৬১ ধারামতে মিস কেস(নং ১৮৯০০/২০) দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বিচারাধীন এ মামলার কার্য্যক্রম ৬ মাসের জন্যে স্থগিত করার আদেশ দেয়।
জানা যায়, মির্জাপুর মৌজার ৮৪০ দাগের ১১একর ৮৯শতক জায়গা জাল দলিল করে দখল করার অভিযোগে ১৯৯৯ সালে আদালতে মামলা হয়। ওই সময়ে জাল দলিলটি করা হয়। মামলায় খাদুরাইল গ্রামের জারু মিয়া, ইছাপুরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলসহ ৫৯ জনকে আসামী করা হয়। মামলার বাদী ভূপেষ চন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন, তার পূর্ব পুরুষ সাধারন জনগনের স্বার্থে গবাদি পশুর চারন ভূমি হিসেবে ব্যবহারের জন্যে এই জায়গাটি প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই ভূমি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত হয়। মামলার আসামীরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল করে সরকারী জায়গা আত্বসাতে তাদের নিজেদের নামে মালিকানা রেকর্ড করে। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত করে পুলিশ ২০০১সালে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এই অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার আসামী বজ্রমালী কপালীসহ ২৭জন অন্যান্য আসামীদের প্ররোচনা ও সহায়তায় মির্জাপুর মৌজার সাবেক ৮৪০ এবং হাল ১২২০ দাগের মোট ১১.৮৯ একর গোবাম ভূমি সম্পূর্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জারু মিয়ার প্রবাসী পুত্র বাবুল আক্তারের কাছে বিক্রি করে। ১৯৯৯ সালের ১ফেব্রুয়ারী ৫৬২ এবং ৫৬৩ দলিল হয় বাবুলের নামে। ৫৬২ নম্বর দলিল দাতা ধনেশ সরকার ও করুনা সিন্দু সরকার এবং ৫৬৩ নম্বর প্রবীর চৌধুরী অনুমান ১৫/১৬ বছর আগে ভারতে চলে যান। ভূপেষ চৌধুরী এই মামলাটি করার আগে ১৯৯৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন আরডিসি আবুল ফজল মীর বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে ৫১জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি পরে ভূমিদস্যুদের তৎপরতায় ধামাচাপা পড়ে। বর্তমানে সরকারী ওই জায়গায় বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স ও থানা নির্মিত হয়েছে। আলোচিত এই মামলাটির বিচার কার্য চলছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ