পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উজানে ভারত থেকে আসা ঢলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আশ্বিন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এসেও বন্যায় প্রধান নদ-নদীসমূহ বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত জুন মাস থেকে কোথাও পঞ্চম কোথাও তৃতীয়-চতুর্থ দফায় দীর্ঘস্থায়ী নজিরবিহীন অকাল বন্যায় সর্বত্র নদীভাঙন ভয়াবহ আকারে অব্যাহত রয়েছে। বসতভিটে হারিয়ে নদীভাঙনে নিঃস্ব মানুষ প্রতিদিনই আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে এখানে-সেখানে।
গতকাল শনিবার পদ্মা, যমুনা, ঘাঘট, করতোয়া, আত্রাই, ধলেশ্বরীসহ ৭টি নদ-নদী ১০টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। প্রধান নদ-নদীসমূহের ৫০টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক স্থানে পানির প্রবাহ রয়েছে অপরিবর্তিত।
প্রধান নদ-নদীসমূহের উৎসে উত্তর-পূর্ব ভারতে উজান অববাহিকায় আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুণাচল, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও হিমালয় পাদদেশীয় এলাকাগুলোতে বৃষ্টিপাত এখন কমেছে। তবে মৌসুমী বায়ু এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের দ্বিমুখী সক্রিয় প্রভাবে আবারও যদি ভারী বৃষ্টিপাত হয় তাহলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তাছাড়া উজানে ভারতের অনেক বাঁধ-ব্যারেজ খুলে পানি ছেড়ে দেয়ায় অব্যাহত রয়েছে ঢল।
পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র গতকাল জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি হ্রাস পাচ্ছে এবং যমুনা নদে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা উভয় নদীর পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল বা অপরিবর্তিত রয়েছে এবং পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৫০টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৯টি পয়েন্টে হ্রাস পায়। ২টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত থাকে। এরমধ্যে ৭টি নদ-নদী ১০টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদ-নদী প্রবাহের গতকাল সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমেছে। যমুনা নদ ৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে যমুনা সারিয়াকান্দিতে ৩১, কাজীপুরে ১৯ ও সিরাজগঞ্জে ১৩ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে।
নেপাল, ভারতের বিহার রাজ্যে অতিবৃষ্টি এবং উজানে ভারতের গঙ্গায় ফারাক্কা বাঁধের গেইট খুলে দেয়ায় ভাটিতে পদ্মা নদী গোয়ালন্দে বিপদসীমার ২২ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উত্তর জনপদের গাইবান্ধায় ঘাঘট নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ২০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চক রহিমপুরে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১১০ সে.মি. উপরে, সিংড়ায় গুর নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩৭ সে.মি উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। মধ্যাঞ্চলে ধলেশ^রী নদীর পানি আরও বেড়ে গিয়ে এলাসিন ঘাটে বিপদসীমার ২৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলে নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ে আত্রাই নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ২৬ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঘাবাড়ীতে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নওগাঁয় ছোট যমুনার পানি বিপদসীমার ৬ সে.মি. নিচে নেমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।