Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের ৫০ বছরে ববিতা

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৮ এএম

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতা তার ক্যারিয়ারের ৫০ বছর অতিক্রম করছেন। চলচ্চিত্রে তার শুরু হয়েছিল শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় এ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দ্বিতীয় সিনেমায়ই তিনি নায়িকা হন। জহির রায়হান পরিচালিত ‘শেষ পর্যন্ত’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে নায়করাজ রাজ্জাকের বিপরীতে অভিনয় করেন। সিনেমাটি ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট মুক্তি পায়। সেই থেকে তিনি নায়িকা হিসেবে তার অভিনয় জীবনের ৫০ বছর পেরিয়েছেন। বাংলাদেশের একজন নায়িকা হয়েও বিশ্ব অঙ্গনে তার খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তাকে বিবেচনা করে উইকিপিডিয়ায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তার জীবনের নানান কথা। বাংলা, ইংরেজি, তামিল, কোরিয়, উড়ীয়, পাঞ্জাবী ও আরবী ভাষায় অর্থাৎ সাতটি ভাষায় ববিতার জীবনের নানা তথ্য প্রকাশ করেছে অনলাইন ভিত্তিক এনসাইক্লোপিডিয়া ইউকিপিডিয়া। বিষয়টি নিয়ে এই ভীষণ উচ্ছ্বসিত ববিতা। চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে অভিনয়ে জীবনের ৫০ বছর পেরিয়ে জীবনের এই প্রাপ্তিকে অকে বড় করেই দেখছেন তিনি। ববিতা তার অভিনয় জীবনের ৫০ বছর পেরিয়ে যাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ এবং যাদের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেছেন, তাদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘শুরুতেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমাদের চলচ্চিত্রের গর্ব শ্রদ্ধেয় জহির রায়হানকে। তিনি অভিভাবক হিসেবে ছিলেন বলেই সিনমোতে কাজ করার সাহস পেয়েছি, অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তারসঙ্গে যে নামটি আসে তিনি হলেন আমার বড় বোন সুচন্দা আপা। আর আমাদের দেশের প্রথিতযশা পরিচালক যেমন খান আতাউর রহমান, নারায়ণ ঘোষ মিতা, সুভাষ দত্ত, আমজাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কামাল আহমেদসহ আরো বেশ কয়েকজনের কথা বলতেই হয়। অবশ্যই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, নায়করাজ রাজ্জাক, আনোয়ার হোসেন, গোলাম মুস্তাফা, এটিএম শামসুজ্জামানের কথা। তাদের কাছ থেকে অভিনয় শিখে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছি। অভিনয় জীবনে পথ চলতে গিয়ে বাড়ি গাড়ির প্রতি কোন লোভ ছিলনা। টাকা রোজগারের ইচ্ছায় অভিনয় করিনি। শিল্প ও শিল্পী হওয়ার নেশায় অভিনয় করেছি। এমনও হয়েছে, ভালো গল্পের সিনেমা বিনে পয়সায় করেছি। দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি, হলে হলে হাততালি পেয়েছি, তাতেই অনুপ্রাণিত হয়েছি আমি। বড় বড় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছি, এই প্রাপ্তি আমাকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গেছে। অবশ্যই কৃতজ্ঞ অস্কারজয়ী নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের প্রতিও। কৃতজ্ঞ আমার চলচ্চিত্র পরিবারের কাছে, আমার পরিবারের কাছে।’ বাংলাদেশের সিনেমায় নায়িকাদের মধ্যে ফ্যাশন আইকন হিসেবে এখনো ববিতাকেই ফলো করেন নায়িকারা, এমনকি ভক্তরাও। বিষয়টি ববিতাকে দারুণভাবে পুলকিত করে। ববিতা সর্বশেষ নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সা ওয়ালা’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। তবে করোনাকালে দু’জন নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়েছে তার। ববিতা বলেন, ‘করোনার এই সময়ে দু’একজন নির্মাতার সঙ্গে কথা হয়েছে। দু’জনের গল্পই আমার কাছে বিবেচনায় রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের সিনেমাতে শিগগিরই কাজ করতে যাচ্ছি। সবকিছু স্বাভাবিক হলেই সিনেমাতে ফেরার প্রত্যাশা রাখছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ববিতা

১৯ নভেম্বর, ২০২১
৩০ জুলাই, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ