ফেরি স্বল্পতা ও সাপ্তাহিক ছুটি কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ছোট বড় মাত্র ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত উভয়ঘাটে ৮ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল। তবে, উভয়ঘাটেই ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা মালবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।

বিআইডব্লিউটিসির ঘাট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ট্রাক শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মধ্যেরাত থেকেই সাপ্তাহিক ছুটির কারণে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে তা আরো বৃদ্ধি পায়। ফলে, পাটুরিয়া ঘাটে অপেক্ষমান যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে টার্মিনাল ছাপিয়ে মহাসড়কে লাইনে গড়ায়।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের সহ-ব্যাবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে চলাচলরত অধিকাংশ ফেরি পুরনো হওয়ায় মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে থাকে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২টি ফেরি স্থানীয় ভাসমান কারখানা মধুমতিতে সাময়িক মেরামতে রয়েছে। বর্তমানে ১৬টি ফেরি দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। ফলে মালবাহী ট্রাকগুলো অপেক্ষায় রাখতে হচ্ছে।
উভয় ঘাটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পাটুরিয়া প্রান্তে বাস-ট্রাক মিলিয়ে ৬ শতাধিক যানবাহন ও দৌলতদিয়া প্রান্তে দুই শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল। সব মিলিয়ে উভয় প্রান্তে ৮ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল।
এদিকে, পাটুরিয়া ঘাটের যানজট কমাতে ঘাট সংযোগ মোড় উথুলী থেকে মালবাহী ট্রাকগুলোকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তায় লাইনে সারিবদ্ধভাবে আটকে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আরিচা সড়কে মালবাহী ট্রাকগুলোকে সারিবদ্ধভাবে রাখার জন্য তাদের যাতায়াত সমস্যা হচ্ছে। ফলে, মাঝে মাঝে আরিচা থেকে মানিকগঞ্জ যেতে তাদের যানজটে পড়ে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এতে স্থানীয় যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।