Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রায় ৩ কোটি নারী ও কিশোরী আধুনিক দাসত্বের শিকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৫৩ পিএম

প্রায় ৩ কোটি নারী ও কিশোরী আধুনিক দাসত্বের শিকার বলে জানিয়েছে দাসত্ব বিরোধী সংস্থা ওয়াক ফ্রি। সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্রেস ফরেস্ট বলেন, বিশ্বের ২ কোটি ৯০ লাখ নারী ও কিশোরী জোরপূর্বক শ্রম, বিয়ে, যৌতুক ও অভ্যন্তরীণ দাসত্বের শিকার। -ইউরো নিউজ
শুক্রবার জাতিসংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বিশ্বের ১৩০জন নারী ও কিশোরীর মধ্যে প্রতি ১ জন আধুনিক দাসত্বের কবলে পড়েছেন। অর্থাৎ, বর্তমানে বিশ্বে যে সংখ্যাক নারী ও কিশোরী দাসত্ব নিয়ে বাস করছেন তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে কোনো সময়ের তুলনায় অত্যাধিক। এই সময় তিনি আরো বলেন, আধুনিক দাসত্ব হলো পদ্ধতিগতভাবে কোনো ব্যক্তির স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা, যেখানে এক ব্যক্তি কর্তৃক অন্য ব্যক্তি ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক লাভের স্বার্থজনিত শিকার হন। ওয়াক ফ্রি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও অভিবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে ৯৯ শতাংশ নারী জোরপূর্বক যৌন নিগ্রহ, ৮৪ শতাংশ জোরপূর্বক বিয়ে এবং ৫৮ শতাংশ জোরপূর্বক শ্রমের শিকার।



 

Show all comments
  • Mohammad Sirajullah, M.D. ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১৫ পিএম says : 0
    Agree with there count. In south Asian Countries forced marriage, child marriage, forced sex by sex by husbands and sometimes by other relatives are extremely common. See below ব্রিটেনের নাগরিক রুবি মেরি। দেশটির সাউথ ওয়েলসে তার জন্ম। তবে তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। এই নারীর অভিযোগ, তাকে বাংলাদেশে এনে কিশোর বয়সেই বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তার উপর চলে নির্যাতন। রুবি মেরিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালে একদিন ছুটি কাটানোর কথা বলে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে এলেন তার বাবা-মা। সে সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর। রুবি মেরি বলেন, মাত্র ছয় সপ্তাহ বাংলাদেশে থাকার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হয়ে গেলো দুইমাস। এরপরে তিনমাস, তারপরে ছয়মাস। আমরা সবাই বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠলাম। কিন্তু বাবা নানা অজুহাতে ব্রিটেন যেতে দেরি করছিলেন। আসলে তার পরিকল্পনা ছিল তিনি আমাকে বিয়ে দেবেন। এই নারীর ভাষ্য, তখন তিনি বিয়ে করতে চাচ্ছিলেন না। কারণ সে সময় মাত্র তার বয়স ১৫ বছর। কিন্তু তার বাবা তাকে জোর করে বিয়ে দেন। তার থেকে দ্বিগুণ বয়সের একজন ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। রুবি মেরি বলছেন, এটা কঠিন, কারণ সবাই তার পরিবারকে ভালোবাসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেকোনো নির্যাতন আসলে নির্যাতনই। জোরপূর্বক বিয়ের পর সেই পরিস্থিতি নিয়ে বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণের শিকার হতেন তিনি, যাতে তার নতুন স্বামী দ্রুত একটি বাচ্চার বাবা হতে পারেন এবং যুক্তরাজ্যে থাকার সুযোগ পান। তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর একজন ক্রীতদাসীর মতো ব্যবহার করা হচ্ছিল আমার সঙ্গে। আমি ছিলাম একটা অপরিচিত দেশে, সেখানে কার কাছে যেতে হবে, তা জানতাম না। আমাকে পুতুলের মত সাজানো হলো। সে সময় বসে বসে আমি ভাবছিলাম, আমি কি একটি বস্তু? তখন যেন যা করতে বলা হচ্ছে, তাই করছি। আমার মাথায় তখন শুধু ছিল ব্রিটেনে ফিরে আসার চিন্তা। রুবি মেরি বিবিসিকে সাক্ষাতকার দিচ্ছেন। ছবি: বিবিসি বিয়ের পরেই তার নতুন স্বামী সন্তানের জন্য অস্থির হয়ে উঠেন বলে জানান রুবি মেরি। তিনি বলেন, কম বা বেশি, প্রায় প্রত্যেক রাতেই আমাকে ধর্ষণ করা শুরু হলো। যাতে আমি তাড়াতাড়ি গর্ভবতী হতে পারি, যাতে তার (স্বামী) ব্রিটেনে যাওয়ার একটি পথ তৈরি হয়। এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা। এরপর রুবি মেরি গর্ভবতী হন। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার জন্য ওয়েলসে ফিরে যান তিনি। শিশুটি জন্মের পরেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তার পরিবার তাকে অস্বীকার করে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ব্রিটেনে অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এই আইনে বাবা-মা কারাগারে যেতে পারেন। এরপর থেকে এ ধরণের মাত্র একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্য জুড়ে। রুবি মেরিকে কার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং বাংলাদেশের কোন জেলায় এ ঘটনা ঘটে তা বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়নি। ইত্তেফাক/জেডএইচ ব্রিটেন রুবি মেরি বাংলাদেশ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ